হলুদে ছেয়ে গেছে মাঠ

ঝালকাঠির মাঠ ছেয়ে গেছে সরিষা ফুলে। মাঠজুড়ে শুধু হলুদ ফুল। গত রোববার সদর উপজেলার ধানসিড়ি ইউনিয়নের সাচিলাপুর গ্রামে l প্রথম আলো
ঝালকাঠির মাঠ ছেয়ে গেছে সরিষা ফুলে। মাঠজুড়ে শুধু হলুদ ফুল। গত রোববার সদর উপজেলার ধানসিড়ি ইউনিয়নের সাচিলাপুর গ্রামে l প্রথম আলো

ঝালকাঠিতে সরিষার আবাদ ভালো হয়েছে। বাম্পার ফলনের হাতছানিতে কৃষকের চোখেমুখে আনন্দের রেখা ফুটেছে। এবার সরিষার হলুদ ফুলে মাঠঘাট ছেয়ে গেছে। মাঠজুড়ে হলুদ ফুলের সমারোহ। সরিষার ফুলে আকৃষ্ট হয়ে মৌমাছিরা মধু আহরণে ব্যস্ত। সরিষা ফুলের হলুদ রাজ্যে মৌমাছির গুঞ্জনে মুখরিত হয়ে উঠেছে গোটা মাঠ।

আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মৌসুমে এ অঞ্চলে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে আশা কৃষকদের।

কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, জেলার চারটি উপজেলার ৪৭৫ হেক্টর জমিতে এ বছর সরিষার আবাদ হয়েছে। ধান বা অন্য ফসলের তুলনায় লাভজনক হওয়ায় কৃষকেরা দিন দিন সরিষা চাষের দিকে ঝুঁকছেন। ঝালকাঠি সদর উপজেলায় ২০০ হেক্টর, নলছিটিতে ১৭৫ হেক্টর, রাজাপুরে ৫০ হেক্টর ও কাঁঠালিয়ায় ৫০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, জেলা সদরে সরিষা ফুলের হলুদ রঙে অপরূপ শোভা ধারণ করেছে মাঠঘাট। দুরন্ত শিশুরা আনন্দে আত্মহারা হয়ে ছুটোছুটি করছে। মাঠে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। সরিষার ফুলের চারপাশে মৌমাছির আনাগোনা বেড়ে গেছে।

এ বিষয়ে ঝালকাঠি সদর উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের সাচিলাপুর গ্রামের কৃষক তৈয়ব আলী বলেন, ‘এবার এক একর জমিতে সরিষা আবাদ করেছি। বেশ ভালো ফুল ধরেছে। আসা করা যায় ফলন ভালো হবে।’ নলছিটি উপজেলার বারইকরণ গ্রামের কৃষক আরমান মিয়া বলেন, ‘আমি এক একর জমিতে সরিষার চাষ করেছি। মাঠে বেশ ফুল ফুটেছে। আশা করছি ফলন ভালো হবে। সরিষায় ধানের চেয়ে অধিক লাভজনক হওয়ায় প্রতিবছরের মতো এবারও আবাদ করেছি।’

এ বিষয়ে ঝালকাঠি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবুবক্কর সিদ্দিক বলেন, ‘ঝালকাঠিতে এ বছর চার উপজেলায় ৪৭৫ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। কৃষকের মাঝে ভালো মানের বীজ ও সার সরবরাহ করা হয়েছে। পাশাপাশি কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবার সরিষার ভালো ফলন হবে বলে আশা করছি। সাধারণত মাঘ ও ফাল্গুন মাসে কৃষকেরা ঘরে সরিষা তুলতে পারবেন।’