ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, পাবনা মেডিকেল বন্ধ

আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধের জের ধরে পাবনা মেডিকেল কলেজে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার সকালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য কলেজ বন্ধ ঘোষণা করেছে। শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যর তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের কয়েজন ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কলেজ ছাত্রলীগের একটি পক্ষ মেডিসিন ক্লাব এবং অপর পক্ষ সন্ধানী সমর্থন করে। দীর্ঘদিন ধরে দুই পক্ষ পৃথকভাবে কর্মসূচিও পালন করে আসছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সাকিব হোসেন নামে সন্ধানীর এক সমর্থক ফেসবুকে মেডিসিন ক্লাব নিয়ে আপত্তিকর কিছু লিখেছে এমন খবর হলে ছড়িয়ে পড়ে। এতে মেডিসিন ক্লাবের সমর্থকেরা ক্ষিপ্ত হন। তাঁরা দল বেঁধে ওই ছাত্রের কক্ষে ঢুকে মারপিট করেন। পরে সন্ধানীর সমর্থকেরাও একত্র হয়ে প্রতিপক্ষর ওপর চড়াও হন। একপর্যায়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অদ্বিতীয় দে ও সভাপতি মাহফুজুর রহমান নয়ন দুজন পৃথক হয়ে দুই পক্ষকে সমর্থন দেন। এতে বিবাদ আরও চরম আকার ধারণ করে। ভোর ৫ টার দিকে লাঠিসোঁটা নিয়ে একপক্ষ ওপর পক্ষের ওপর হামলা করে। এতে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া সংঘর্ষে দুই পক্ষের অনন্ত ১০ জন আহত হন। খবর পেয়ে পাবনা সদর থানা-পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পাবনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মো. রিয়াজুল হক বলেন, তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে ছাত্ররা বিবাদে জড়িয়েছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক আছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কলেজ বন্ধ করে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি প্রতিবেদন দিলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।