সেফ হোমের সাত কিশোরীর খোঁজ মেলেনি

চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের হাটহাজারীর ফরহাদাবাদ এলাকার মহিলা ও শিশু-কিশোরী নিরাপদ হেফাজতিদের আবাসন (সেফ হোম) থেকে পালানো সাত কিশোরীর খোঁজ তিন দিনেও মেলেনি। এ ঘটনায় করা মামলায় সেফ হোমের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার ও আয়াসহ চারজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রামের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম হেলাল উদ্দিন এই আদেশ দেন। চার আসামি হলেন আনসার সদস্য অনিমা রায়, প্লাটুন আনসার জ্যোতি আক্তার, আয়া নুর নাহার ও কোহিনুর বেগম।
গত বুধবার ভোরে সেফ হোমের গ্রিল ভেঙে আট কিশোরী পালিয়ে যায়। ওই দিন সকাল সাতটার দিকে সেফ হোম থেকে আড়াই শ মিটার দূরে এক কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তদন্তে ওই দিনই সমাজসেবা অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালককে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়। সেফ হোমের দায়িত্বে থাকা কর্মীদের সঙ্গে নারী ও শিশু পাচারকারীদের যোগসূত্র রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্য সুপারিশ তদন্ত প্রতিবেদনে করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সেফ হোমে নিরাপত্তাব্যবস্থা নাজুক থাকলেও দায়িত্বরত ব্যক্তিরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাননি। প্রতিবেদনে সেফ হোমের দায়িত্বে থাকা দুই আনসার সদস্য ও দুই আয়ার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা ও সাময়িক বরখাস্তের সুপারিশ করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সেফ হোমের উপতত্ত্বাবধায়ক নাজমা আক্তার বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে হাটহাজারী থানায় আট কিশোরীকে পালাতে সহযোগিতার অভিযোগে মামলা করেন। 

চট্টগ্রাম জেলা কোর্ট পরিদর্শক এ এইচ এম মশিউর রহমান বলেন, চারজনকে আদালতে হাজির করা হলে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।
মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা হাটহাজারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খোরশেদ আলম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার চারজনের কাছ থেকে কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। তাঁদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করতে আগামী রোববার সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হবে আদালতে।
সমাজসেবা অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক নাজনীন কাউসার চৌধুরী আজ সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, পালিয়ে যাওয়া সাত কিশোরীর কাউকে এখনো পাওয়া যায়নি।