রান্নাঘরের মাটির নিচে বন্ধুর লাশ

রংপুরের কাউনিয়া উপজেলায় নিখোঁজ হওয়ার ২৭ দিন পর সিরাজুল ইসলাম (৪০) নামের এক ব্যক্তির লাশ আসামিদের বাড়ির রান্নাঘরের মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আজ শনিবার লাশটি উদ্ধার করা হয়। এর আগে পুলিশ ওই বাড়ির মালিক ফরিদুল ইসলাম (৩৯) ও তাঁর স্ত্রী মিনি আক্তারকে (২৫) গ্রেপ্তার করে। তাঁদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ লাশটির সন্ধান পায়। আসামিদের বাড়ি উপজেলার হারাগাছ পৌরসভার হক বাজার মালিয়াটারী এলাকায়। নিহত সিরাজুল উপজেলার মালিয়াটারী কানাটারী গ্রামের মফেল উদ্দিলের ছেলে। সিরাজুল ও ফরিদুল বন্ধু ছিলেন।

পুলিশ ও নিহত সিরাজুলের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৭ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ১০টার দিকে সিরাজুল তাঁর বন্ধু ফরিদুলের ফোন পেয়ে তাঁর বাড়ির উদ্দেশে বের হন। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। কোনো সন্ধান না পেয়ে ১৯ ডিসেম্বর সিরাজুলের বড় ভাই সেরেকুল ইসলাম কাউনিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

এরপর পুলিশ অনুসন্ধান শুরু করে। একপর্যায়ে পুলিশ গত শুক্রবার রাতে সিরাজুলের বন্ধু ফরিদুল ও তাঁর স্ত্রী মিনি আক্তারকে গ্রেপ্তার করে। তাঁরা সিরাজুলকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। পরে তাঁদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শনিবার বাড়ির রান্নাঘরের মাটি খুঁড়ে সিরাজুলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, সিরাজুল পেশায় দাদন ব্যবসায়ী ছিলেন। দাদনের টাকা লেনদেনের জের ধরে ফরিদুল ও তাঁর স্ত্রী সিরাজুলকে ১৭ ডিসেম্বর তাঁদের বড়িতে ডেকে নিয়ে আসেন। এরপর বাড়িতে আটকে রাখেন। ওই দিনই সিরাজুলকে তাঁরা বৈদ্যুতিক শক দিয়ে নির্যাতন চালান। একপর্যায়ে সিরাজুল মারা যায়। পরে তাঁরা সিরাজুলের লাশ বাড়ির রান্নাঘরের মাটি খুঁড়ে পুঁতে রাখেন।

কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন অর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় সিরাজুলের স্ত্রী মবিনা খাতুন বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে কাউনিয়া থানায় হত্যা মামলা করেছেন।