কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় ৭ ঘণ্টা ফেরি চলেনি

দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় যানবাহনের দীর্ঘ সারি। দৌলতদিয়া ফেরিঘাট, রাজবাড়ী, ১৪ জানুয়ারি। ছবি: এম রাশেদুল হক
দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় যানবাহনের দীর্ঘ সারি। দৌলতদিয়া ফেরিঘাট, রাজবাড়ী, ১৪ জানুয়ারি। ছবি: এম রাশেদুল হক

ঘন কুয়াশার কারণে আজ রোববার ভোররাত থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত সাত ঘণ্টার বেশি সময় রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। এর আগে উভয় ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া ছয়টি ফেরি মাঝনদীতে আটকা পড়ে। আটকা পড়ে অনেক রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স। তীব্র শীত ও কুয়াশায় যাত্রীরা অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হয়।

আজ রোববার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত দুই ঘাটে গাড়ির ভিড় লক্ষ করা যায়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয় জানায়, গতকাল দিবাগত রাতে নদী অববাহিকায় তেমন কুয়াশা না থাকলেও আজ ভোরের দিকে ঘন কুয়াশা পড়তে থাকে। কুয়াশার মাত্রা বেড়ে গেলে ভোর সোয়া চারটা থেকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে এবং পাটুরিয়া-নগরবাড়ি রুটে চলাচলরত ফেরি বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এর আগে দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া ছয়টি ফেরি মাঝনদীতে আটকা পড়ে। ফেরিগুলো হলো খানজাহান আলী, ভাষাসৈনিক ডা. গোলাম মওলা, ভাষাশহীদ বরকত, কেরামত আলী, কপোতি ও হাসনা হেনা। ফেরিতে অন্তত ১১০টির মতো যাত্রীবাহী বাসসহ অন্যান্য গাড়ি ও সহস্রাধিক যাত্রী ছিল। এ ছাড়া উভয় ঘাট থেকে মাঝনদীতে ফেরি বন্ধের খবর পেয়ে আর কোনো ফেরি ছাড়েনি। বেলা সোয়া ১১টার দিকে কুয়াশা কেটে গেলে ফেরি চলাচল শুরু হয়। দীর্ঘ সাত ঘণ্টার মতো ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় মাঝনদীতে ও সড়কপথে আটকে থাকা যাত্রী ও পরিবহনচালকেরা অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হয়। দুর্ভোগের কবলে পড়ে অনেক অ্যাম্বুলেন্সবাহী রোগী ও তাদের স্বজনেরা।
সাতক্ষীরা থেকে অ্যাম্বুলেন্সে রোগী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে আসছিলেন হেলাল ইসলাম। তিনি ঢাকার একটি মুঠোফোন কোম্পানিতে কর্মরত আছেন। তাঁর চাচা হায়াত আলীর জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজনে শনিবার বাড়ি গিয়ে রোববার খুব ভোরে ঢাকার উদ্দেশে রওনা করেন। কিন্তু ঘাটে এসে ফেরি বন্ধের কারণে তাঁদের প্রায় পাঁচ ঘণ্টা আটকে থাকতে হয়। এ রকম অনেক রোগী বা ব্যক্তিকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দৌলতদিয়া ঘাটে আটকে থেকে দুর্ভোগের কবলে পড়তে হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে বর্তমানে ১৬টি ফেরি থাকলেও এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান নামক ফেরি যান্ত্রিক ত্রুটিতে বিকল হয়ে আছে। বাকি ১৫টি ফেরি চালু থাকলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগ কুয়াশার কারণে প্রায় দিন ফেরি চলাচল বন্ধ থাকছে। এ কারণে উভয় ঘাটে কয়েক শ গাড়ি আটকা পড়েছে।