এই শীতেও সড়কে পানি!

মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর থেকে পল্লবীর দিকে যাওয়ার সড়কে একপাশে এভাবে জমে আছে নোংরা পানি। গতকালের ছবি l মুসলিমা জাহান
মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর থেকে পল্লবীর দিকে যাওয়ার সড়কে একপাশে এভাবে জমে আছে নোংরা পানি। গতকালের ছবি l মুসলিমা জাহান

বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী এখন মাঘ মাস। কিন্তু মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর থেকে পল্লবীর দিকে যেতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ট্রেনিং কমপ্লেক্সের সামনের সড়কে চোখ পড়লে কারও বর্ষাকাল ভেবে ভুল হতে পারে। কারণ, সড়কের এক পাশের বড় একটা অংশ ডুবে আছে পানিতে।

স্থানীয় লোকজন ও পথচারীরা বলছেন, পয়োনালার পানি উপচে এখানে পানি জমেছে। বছরের বেশির ভাগ সময় সড়কের এই অংশে পানি জমে থাকে। এদিকে জলাবদ্ধ সড়কের পাশের ফুটপাত হকারদের দখলে থাকায় চলাচলে বেশ ভোগান্তি পোহাতে হয়।

গতকাল সোমবার দেখা যায়, গোলচত্বরে পাশে সড়কের বেশ খানিকটা জায়গাজুড়ে নোংরা পানি। উত্তরাগামী বাসগুলো জমে থাকা পানির পাশে সড়কের প্রায় মাঝামাঝি জায়গায় দাঁড়িয়ে যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছে। এতে সেখানে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

পথচারী ঝরনা ইসলাম বলেন, ‘এই রাস্তায় সব সময় জ্যাম থাকে। পানি জমলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয়। আমাদের দুর্ভোগের সীমা নাই।’

একটু এগিয়ে দেখা যায়, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ট্রেনিং কমপ্লেক্সের ১ নম্বর ফটক থেকে ৪ নম্বর ফটক পর্যন্ত আনুমানিক ২০০ গজ দূরত্বের রাস্তার দুই-তৃতীয়াংশ পানিতে ডুবে আছে। বেশ কয়েক জায়গায় দেখা গেছে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ।

কোথাও কোথাও জমে থাকা পানির মধ্যে ইট ফেলে মানুষ চলাচল করছে। কেউ কেউ আবার সেই নোংরা পানি মাড়িয়েই পার হচ্ছেন। এদিকে পাশের ফুটপাতজুড়ে বই, খাবার, চাসহ নানা ধরনের দোকান। বইয়ের দোকানগুলোয় ক্রেতাদের বেশ ভিড়। এতে পথচারীদের হাঁটার জায়গা নেই। দেখা যায়, ভিড়ের মধ্য দিয়ে হাঁটতে গিয়ে গায়ে ধাক্কা লাগায় দুই পথচারীর মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। পরে অন্য পথচারীদের মধ্যস্থতায় দুজনের ঝগড়া থামে।

পানি জমে থাকায় রিকশাগুলো মোড় থেকে বেশ খানিকটা দূরে থাকে। হাতে গোনা কয়েকটি রিকশা এই দুর্গন্ধযুক্ত পানি ভেঙে যাত্রী নেয়।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অঞ্চল-২-এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম ফকির এ বিষয়ে প্রথম আলোকে বলেন, ‘গোলচত্বরে পানি জমে থাকার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে কালই (আজ) সরেজমিনে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’ সমস্যাটি পুরোনো জানালে তিনি বলেন, তিনি মাসখানেক আগে এই পদে যোগ দিয়েছেন। বিষয়টি ভালোভাবে জেনে স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা করবেন।