যুবককে হত্যায় একজনের যাবজ্জীবন

নাটোরে পরকীয়া প্রেমের জেরে শরিফুল ইসলাম নামের এক যুবককে হত্যার দায়ে মো. শাহ আলম নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে নাটোরের জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ মো. রেজাউল করিম এই রায় ঘোষণা করেন।

এ সময় নিহত শরিফুলের স্ত্রীসহ অপর চার আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত শাহ আলম নাটোরের সিংড়া উপজেলার বিনগ্রামের বাসিন্দা। তিনি মামলা তদন্তের সময় দোষ স্বীকার করে বিচারিক হাকিমের কাছে জবানবন্দি দিয়েছিলেন। আজ রায় ঘোষণার পর তাঁকে নাটোর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, সিংড়া উপজেলার বিনগ্রামের আবদুল জলিলের ছেলে শরিফুল ইসলাম ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাতেন। ২০১১ সালের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর তিনি নিখোঁজ হন। রাতে উপজেলার দৌপুকুরিয়া বটগাছের কাছে তাঁর মৃতদেহ পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে তাঁর বাবা বাদী হয়ে পরের দিন চারজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। সিংড়া থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) সৈকত হাসান মামলাটি তদন্ত করে ২০১৩ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে শাহ আলমসহ পাঁচজনের নামে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তদন্তকালে তিনি জানতে পারেন, নিহতের স্ত্রীর সঙ্গে বাবুল হোসেন ওরফে বাবু নামের এক আসামির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বাবুল এর জেরেই শাহ আলম ও রুহুল আমিনকে দিয়ে শরিফুলকে হত্যা করান।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি সিরাজুল ইসলাম বলেন, বিচার চলাকালে মামলার প্রধান আসামির মৃত্যু হয়। অপর তিন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁদের খালাস দেওয়া হয়। দোষ স্বীকার করায় শাহ আলমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশসহ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।