কুষ্টিয়ায় চালককে মারধর, অ্যাম্বুলেন্স বন্ধ

চাঁদা দাবি ও চালককে মারধরের প্রতিবাদে কুষ্টিয়ায় বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে জেলার কোনো অ্যাম্বুলেন্স সেবা দিচ্ছে না।

জেলা অ্যাম্বুলেন্স সমবায় সমিতি সূত্র জানায়, কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের সামনে বেশ কিছু বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স থাকে। এসব অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকাসহ রাজশাহীতে রোগী আনা-নেওয়া করা হয়। বেশ কিছু দিন ধরে হাসপাতালের সামনের দালালশ্রেণির কয়েকজন লোক অ্যাম্বুলেন্সচালকদের কাছে চাঁদা দাবি করে। তা না হলে অ্যাম্বুলেন্স চলতে দেবে না। এর পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি জেলা অ্যাম্বুলেন্স সমবায় সমিতি নামে একটি সংগঠন তৈরি করেন মালিক ও চালকেরা। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে দালালশ্রেণির ওই লোকজন গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হাসপাতালের সামনে থাকা এক অ্যাম্বুলেন্সের চালক শামীম হোসেনের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডা করে। তারা দাবি করে, রাজশাহী ও ঢাকায় অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া হলে ৫০ থেকে ১০০ টাকা দিতে হবে তাদের। এ নিয়ে একপর্যায়ে ওই দালালেরা অ্যাম্বুলেন্সের চালককে মারধর করে।

জানতে চাইলে অ্যাম্বুলেন্স সমবায় সমিতির সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় যাওয়া হবে। আশানুরূপ সুরাহা না হলে অ্যাম্বুলেন্সসেবা বন্ধ থাকবে।

রোগীদের জরুরি সেবা বন্ধ করে রাখার ব্যাপারে জানতে চাইলে রফিকুল ইসলাম বলেন, অ্যাম্বুলেন্সের চালকেরা ভয়ে আছেন। তাঁরা মারধরের শিকার হতে চাইছেন না। তাই অ্যাম্বুলেন্স বন্ধ আছে।

জানতে চাইলে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ রকম কোনো অভিযোগ আমার কাছে আসেনি। এলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’