নির্বাচন এলে একটা শ্রেণি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে

বুধবার সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: ফোকাস বাংলা
বুধবার সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: ফোকাস বাংলা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচন এলে একটা শ্রেণি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। তারা বাঁকা পথে ক্ষমতায় যাওয়ার অলিগলি খুঁজতে থাকে। আ-তু করে ডাক দিলে তারা ছুটে যায়।

আজ বুধবার জাতীয় সংসদে এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এই মন্তব্য করেন।

কারও নাম উল্লেখ না করে ওই শ্রেণির কঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা ভালো দেখে যখন ইমার্জেন্সি হয়, দুর্বলভাবে ক্ষমতায় এসে তাদের ডাকে। আ-তু করে ডাক দিলে তারা ছুটে যায়। এই শ্রেণিটাই দেশের জন্য ও দেশের মানুষের জন্য সব থেকে যন্ত্রণাদায়ক।’

সম্পূরক প্রশ্নে জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম বিভিন্ন দেশে, গণমাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেওয়া উপাধি তুলে ধরে বলেন, এরপরও রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র করা দরকার আছে কি না।

জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উনি কথা দিয়ে এত আলো জ্বালানোর পর হঠাৎ সুইচটা অফ করে দিলেন কেন?’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র হবে দেশের উন্নয়নের জন্য। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষদের জিজ্ঞাসা করেন, তাদের বিদ্যুতের প্রয়োজন আছে কি না।

সংসদনেতা বলেন, কোনো চাওয়া-পাওয়া নয়, তিনি কাজ করেন মানুষের কল্যাণের জন্য। যতই বিশেষণ দেওয়া হোক, তাতে তাঁর ওপর প্রভাব পড়ে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হাজার বিশেষণ দিলেও আমার মাথা কখনো খারাপ হবে না। আমি কখনো বেতালা হব না, সেটা আমি জানি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একমুখে বিশেষণ দেবে আবার উনিশ থেকে বিশ হলে ওই মুখে গালিও দেবে। যে হাতে মালা দেবে, সেই হাতে ঢিলও মারবে। সেটাও জানা আছে।

কারও নাম উল্লেখ না করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন এলেই একটা শ্রেণি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।

শেখ হাসিনা বলেন, গণতান্ত্রিক ধারা তাদের ভালো লাগে না। তারা উন্নয়ন চোখে দেখে না। এমনকি বললেও তারা শোনে না। তারা চক্ষু থাকতে অন্ধ, কান থাকতে বধির।

ওই শ্রেণির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অস্বাভাবিক, অসাংবিধানিক সরকার এলে বা জরুরি অবস্থা হলে তাদের একটু গুরুত্ব বাড়ে। তাদের ক্ষমতায় যাওয়া, পতাকা পাওয়ার ইচ্ছা আছে। কিন্তু সেই ইচ্ছা পূরণ হয় না। কারণ নির্বাচন করার মতো যোগ্যতা তাদের নেই। এ কারণে তারা বাঁকা পথে ক্ষমতায় যাওয়ার অলিগলি খুঁজতে থাকে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা জারির পর তারা উৎফুল্ল ছিল। দল গঠন করবে, ক্ষমতায় যাবে। ক্ষমতার মসনদে বসবে, কিন্তু হয়নি। ২০১৪ সালেও নির্বাচন বানচাল করে বাঁকা পথে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করেছিল।