'রং ম্যাসেজ দিয়েছি, আমরা ক্ষমাপ্রার্থী'

ছেলেরা প্রকাশ্যে ধূমপান করতে পারলেও নারীরা তা কোনোভাবেই করতে পারবেন না, ধূমপান করতে চাইলে ঘরে বসে করতে হবে—এ ধরনের বিষয়বস্তু নিয়ে তৈরি করা হয়েছিল শর্টফিল্ম ‘বৈষম্য’। সম্প্রতি তা ইউটিউবে আপলোড করা হয়। ফেসবুকে ভিডিওটি নিয়ে তুমুল সমালোচনার জন্ম দেয়। অবশেষে এ শর্ট ফিল্মের পরিচালক হায়াত মাহমুদ রাহাত ও অভিনেতা সাব্বির হোসেন (ফেসবুকে সাব্বির অর্ণব) মুচলেকা দিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন।

আজ বুধবার শর্টফিল্মটির পরিচালক ও অভিনেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সাইবার ক্রাইম বিভাগের সদস্যরা। রাতে এই দুজনের অভিভাবকদের উপস্থিতিতে মুচলেকা দেওয়ার পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানান সাইবার ক্রাইমের উপকমিশনার মো. আলিমুজ্জামান।

সন্ধ্যার দিকে পরিচালক হায়াত মাহমুদের ফেসবুক পেজে লাইভ ভিডিওতে হায়াত মাহমুদ ও সাব্বির অর্ণব বিষয়টির জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, ‘...আমরা এতে রং ম্যাসেজ দিয়েছি, আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। একটা সময় এসে আমরা বুঝতে পারি আমাদের ল্যাকিং ছিল, বিষয়টি ল-এর বিরুদ্ধে ছিল।’

ফেসবুক ভিডিওতে হায়াত মাহমুদ ও সাব্বির পেজের অ্যাডমিনদের বলেছেন, তাঁরা যাতে ওই ভিডিওর লিংকটি ডিলিট করে দেন। কেননা সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সদস্যদের নজর এখন এদিকে।

সম্প্রতি শর্টফিল্মের ভিডিওটি আপলোডের পর তিন নারী সাংবাদিক লিখিতভাবে সাইবার ক্রাইম বিভাগে অভিযোগ করেন। তাঁদের একজন প্রথম আলোকে বলেন, সাইবার ক্রাইম ইউনিট থেকে ভিডিওর সব লিংক ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ডিলিট করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আজ আইন ও সালিস কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক শীপা হাফিজার সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ ধরনের ভিডিও আপলোড করার বিষয়ে নিন্দা জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ‘বৈষম্য’ শিরোনামে প্রচারিত একটি শর্টফিল্মে নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক ও কটাক্ষপূর্ণ উক্তি এবং নারীদের হেয়প্রতিপন্ন করতে উসকানি দেওয়া হয়েছে। পরিচালক হায়াত মাহমুদ রাহাতসহ এর নির্মাণ ও প্রচারের সঙ্গে যুক্ত ও নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘হ্যারিকেন প্রোডাকশনের’ বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে। কেননা, ভিডিওটির বার্তা সর্বোচ্চ আইন সংবিধানকেও কটাক্ষ করেছে।