৪০০ বিধবাকে ভূরিভোজ
শাহানা পারভিন একটি কম্বলের জন্য অনেক ঘুরেছেন। শীতের কষ্ট সইতে পারার ক্ষমতাও হারিয়ে ফেলেছেন বয়োজ্যেষ্ঠ এই বিধবা নারী। হঠাৎ করে তাঁর কাছে খবর যায় বুধবার সুরাট বাজারে যেতে বলেছেন স্থানীয় চেয়ারম্যান কবির হোসেন। সেখানে দেওয়া হবে কম্বল।
এই খবর পেয়ে শাহানা ছুটে এসেছিলেন একটি কম্বলের আশায়, পেয়েও যান তিনি। সঙ্গে আরও পান দুপুরের খাবার, যা তিনি আশা করেননি বলে হাসিমুখে প্রকাশ করেন। শুধু শাহানা একা নন, সুরাট ইউনিয়নের ৪০০ দরিদ্র বিধবা নারীর হাতে বুধবার কম্বল তুলে দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাঁদের জন্য ভূরিভোজের আয়োজন করা হয়। কম্বল নিতে আসা নারীরা পেট ভরে দুপুরের খাবার খান। সরকার থেকে কম্বল আর স্থানীয় চেয়ারম্যানের দেওয়া ভূরিভোজে খুবই খুশি অসহায় বিধবারা।
চেয়ারম্যান কবির হোসেন জোয়ার্দার জানান, তাঁর ইউনিয়নে ১২টি গ্রামে প্রায় ৩০ হাজার মানুষের বসবাস। যার মধ্যে সাড়ে চার শ দরিদ্র বিধবা নারী রয়েছে। তিনি গত এক সপ্তাহে বাড়ি বাড়ি লোক পাঠিয়ে যাঁদের নাম সংগ্রহ করেছেন, তাঁদের প্রত্যেককে দাওয়াত দিয়েছেন। তাঁদের মাঝে সরকারিভাবে পাওয়া কম্বল বিতরণের আয়োজন করেন। এ বিতরণ অনুষ্ঠানে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শম্মী ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কম্বল বিতরণ করেন। চেয়ারম্যান আরও জানান, ব্যক্তি উদ্যোগে তিনি সবাইকে খাওয়ার দাওয়াতও দিয়েছিলেন। আগে খেতে দেন, পরে সবার হাতে কম্বল তুলে দেওয়া হয়। সুরাট ঈদগাহ মাঠে বসে সবাই খাবার খেয়েছেন।
চেয়ারম্যান কবির হোসেন জানান, ‘ভাত, ডাল, মাংস, দধি সবকিছুর আয়োজন ছিল এই নারীদের জন্য। তাঁদের খাওয়াতে পেরে ভালো লেগেছে।’