'যত্তসব নেগেটিভ কথা তাদের মুখে'

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ । প্রথম আলাে ফাইল ছবি
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ । প্রথম আলাে ফাইল ছবি

বাণিজ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘রায় দিলেন হাইকোর্ট, আর সুযোগ নিলাম আমরা। এটা কোনো কথা হলো। এই কথার জবাব দেওয়াই ঠিক না।’

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে এক সেমিনারে তোফায়েল আহমেদ এই মন্তব্য করেন। আওয়ামী লীগ সরকারের নয় বছর পূর্তিতে সরকারের অর্জন শীর্ষক আলোচনা সভাটির আয়োজন করে দলের প্রচার উপকমিটি।

গতকাল বুধবার দুপুরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন এক আলোচনা সভায় বলেন, ভোটে হার নিশ্চিত জেনেই সরকার নিজেদের লোক দিয়ে রিট করিয়ে উপনির্বাচন স্থগিত করেছে।

উত্তর সিটি উপনির্বাচন স্থগিত বিষয়ে বিএনপির প্রতিক্রিয়ার নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আমরা কি হাইকোর্টের সঙ্গে কথা বলেছি, যত্তসব নেগেটিভ কথা তাদের (বিএনপি) মুখে।’

তোফায়েল আহমেদ আরও বলেন, রংপুরের নির্বাচনে বিএনপি তৃতীয় হয়েছে, কুমিল্লায় তাঁরা জয় পেয়েও বলছে, নির্বাচন সুষ্ঠু হলে আরও বেশি ভোট পেত। নারায়ণগঞ্জে সূক্ষ্ম কারচুপির অভিযোগ করেছে বিএনপি। তিনি বলেন, এখন ঢাকা উত্তর সিটি উপনির্বাচন স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। আসলে বিচার বিভাগের প্রতি বিএনপির কোনো শ্রদ্ধা-ভক্তিই নেই।

সেমিনারে আওয়ামী লীগের প্রচার উপকমিটির আহ্বায়ক প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম প্রশ্নোত্তর পর্বের জবাব দেন।

প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে সরকারের অবস্থান কী—এমন প্রশ্নের জবাবে এইচ টি ইমাম বলেন, ‘প্রশ্নফাঁস বর্তমানে বড় রকমের সমস্যা। কোনো দেশ এগিয়ে যাওয়ার সময় এ ধরনের ঘটনা কাম্য নয়। এটা সরকারকে যন্ত্রণা দিয়ে থাকে।’

প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় কোচিং সেন্টারকে দায়ী করে এইচ টি ইমাম বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের জন্য কোচিং সেন্টার একটি সমস্যা। পাবলিক সার্ভিস পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস হয় না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার পদ্ধতি অনুসরণ করা যেতে পারে। প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধ করতে হবে।

সিপিডি প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করছে কেন—এই প্রশ্নের জবাবে এইচ টি ইমাম বলেন, ‘সিপিডি এখন পলিটিক্যাল ইকোনমি করছে। তারা অন্য একটি রাজনৈতিক দলের তাঁবেদারি নিয়ে ব্যস্ত। আসলে যারে দেখতে নারি, তার চলন বাঁকা। ওদের মূল্য দিলে চলবে না। আমাদের নিজেদের মতো করে এগিয়ে যেতে হবে।’

সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং প্রচার উপকমিটির সদস্যসচিব হাছান মাহমুদ, উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম প্রমুখ। সেমিনারে প্রবন্ধ পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল বারকাত।