যশোর রোডের মহিরুহ

২০১৭ সালে একবার যশোর-বেনাপোল জাতীয় মহাসড়ক উন্নয়নের জন্য দুই পাশের বিভিন্ন প্রজাতির ২ হাজার ৩১২টি গাছ কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। কিন্তু বিভিন্ন মহল থেকে জোরালো আপত্তির কারণে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয়নি। ৬ জানুয়ারি যশোর-বেনাপোল মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীতকরণের জন্য সড়কের দুই পাশের গাছগুলো কাটতে হবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। এবারও বিভিন্ন মহল থেকে এর বিরোধিতা করা হচ্ছে। সর্বশেষ এক রিটের পরিপেক্ষিতে বৃহস্পতিবার শতবর্ষী এই গাছগুলো কাটার ক্ষেত্রে ছয় মাসের জন্য স্থিতাবস্থা দিয়েছেন হাইকোর্ট। যশোর রোডের শতবর্ষী গাছগুলোর ছবি সম্প্রতি ক্যামেরাবন্দী হয়েছে।

বাংলাদেশের অভ্যুত্থানের ইতিহাসের সঙ্গে এই যশোর রোড জড়িত। মুক্তিযুদ্ধের সময় এই রোড ধরেই লাখ লাখ বাংলাদেশি শরণার্থী ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল। ঝিকরগাছা মহিলা কলেজ এলাকা, যশোর।

কবি অ্যালেন গিন্সবার্গ সে সময় লিখেছিলেন তাঁর বিখ্যাত কবিতা ‘সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড’। শার্শা বাজার, যশোর।

যশোর রোডের এসব গাছের মধ্যে ১৭৪ বছরের পুরোনো যশোরের তৎকালীন জমিদার কালী পোদ্দারের লাগানো তিন শতাধিক মেঘ শিরীষও রয়েছে। শার্শা বাজার, যশোর।

যশোর শহরের দড়াটানা মোড় থেকে বেনাপোল স্থলবন্দর পর্যন্ত ৩৮ কিলোমিটার সড়ক সম্প্রসারণের জন্য ২ হাজার ৩১২টি গাছ কাটার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ঝিকরগাছা মহিলা কলেজ এলাকা, যশোর।

বহু বছরের পুরোনো অনেক গাছসহ বিপুলসংখ্যক গাছ কেটে মহাসড়ক সম্প্রসারণের এই কাজের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে প্রতিবাদ হচ্ছে। যশোর-বেনাপোল সড়ক, যশোর।

গাছ কাটার সিদ্ধান্তকে ‘অশুভ চক্রের জন্য লুটপাটের মওকা’ বলে মনে করে বেশ কয়েকটি পরিবেশবাদী সংগঠন। ঝিকরগাছা মহিলা কলেজ এলাকা, যশোর।