ইসির গাফিলতি ছিল না: সচিব

আইনি জটিলতার কারণে ঢাকায় দুই সিটি করপোরেশনে নির্বাচন স্থগিত হওয়ার পেছনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কোনো গাফিলতি ছিল না বলে দাবি করেছে ইসি। 

বৃহস্পতিবার কমিশনের বৈঠক শেষে ইসি সচিবালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এক ব্রিফিংয়ে এই দাবি করেন।

তবে সচিব জানান, কমিশনের বৈঠকে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। এটি বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে ছিল না।
যথেষ্ট আলোচনা না করে ইসি তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে, এর দায় ইসির কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে হেলালুদ্দীন বলেন, ‘আদেশ পাওয়ার পরে মন্তব্য করতে পারব। আমাদের গাফিলতির প্রশ্নই ওঠে না।’

জটিলতা নিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ইসি আলোচনা করেছিল কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে হেলালুদ্দীন বলেন, সাংবিধানিক দায়িত্ব হিসেবে জাতীয় নির্বাচন ইসি নিজেরাই পরিচালনা করে। আর স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলো স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে করা হয়। স্থানীয় সরকারের অনুরোধ পাওয়ার পর ইসি ঢাকায় নির্বাচনের কাজে হাত দিয়েছিল।

ইসি সচিব বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অনুরোধ পাওয়ার পর এ বিষয়ে ইসির সঙ্গে স্থানীয় সরকারের আর কোনো আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ হয়নি। আইনের বিষয়গুলো দেখার জন্য স্থানীয় সরকারের আইন অনুবিভাগ রয়েছে। আইন অনুবিভাগের অনাপত্তি নিয়েই স্থানীয় সরকার ইসিকে চিঠি দিয়েছে। আদালত কোন ক্ষেত্রে ত্রুটি ধরেছে, তা আদেশের কপি পাওয়ার পর বোঝা যাবে।
হেলালুদ্দীন বলেন, আদালতের স্থগিতাদেশ নিয়ে নির্বাচন কমিশন বিস্তারিত আলোচনা করেছে। হাইকোর্টের এই আদেশ প্রত্যাহার না হওয়ায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপনির্বাচন ও নতুন ওয়ার্ডগুলো এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নতুন ওয়ার্ডগুলোর নির্বাচনের কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। আদালতের আদেশের কপি হাতে পেলে ইসি পরবর্তী করণীয় ঠিক করবে।
এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে কমিশনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব বলেন, প্রবাসে বাংলাদেশিদের ভোটার করার বিষয়ে কমিশন নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আগামী ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে একটি সেমিনার করা হবে। সেমিনারে পাওয়া সুপারিশের আলোকে এ বিষয়ে নীতিমালা করা হবে।
হেলালুদ্দীন বলেন, ২০১২ সাল থেকে যেসব ভোটার জাতীয় পরিচয়পত্র পাননি, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে তাঁদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হবে। হিজড়াদের ভোটার তালিকায় ‘তৃতীয় লিঙ্গ’ পরিচয়ে ভোটার করতে আইনের নীতিমালা প্রণয়নের সিদ্ধান্ত হয়েছে।