গাছ খাওয়ায় ছাগল জবাই করে ভূরিভোজ

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য বরগুনা পৌর শহরের সড়ক বিভাজকে লাগানো হয়েছে গাছ। সেই গাছ খেয়ে ফেলেছে ছাগল। এই ‘অপরাধে’ ছাগলটি জবাই করে ভূরিভোজ করেছেন পৌরসভার কর্মচারীরা। গত বুধবার এ ঘটনা ঘটেছে বরগুনা পৌর ভবনে।

ছাগলটি পৌর ভবনসংলগ্ন বস্তি এলাকার বাসিন্দা মোছা. ইরানি বেগমের (৪৫)। তিনি বলেন, তাঁর সম্বল বলতে দুটি ছাগল ছিল। এর মধ্যে একটি এভাবে খেয়ে ফেলা হলো। ছাগলটির দেড় মাস বয়সী দুটি বাচ্চা রয়েছে। মায়ের দুধ না পেয়ে বুধবার রাত থেকে বাচ্চাগুলো কাঁদছে।

স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য পৌর শহরের সড়ক বিভাজকে গাছ লাগানো হয়। বুধবার দুপুরে একটি ছাগল এর কিছু গাছ খেয়ে ফেলে। এ কারণে পৌর কর্মচারীরা ছাগলটি ধরে নিয়ে আসেন। পরে মেয়রের নির্দেশে সন্ধ্যার পর ছাগলটি জবাই করে পৌর ভবনের ভেতরে ভূরিভোজের আয়োজন করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য দুজন পৌর কাউন্সিলর ছাগলের মালিক ইরানির বাসায় যান।

ইরানি বেগম বলেন, খোঁজাখুঁজি করে তিনি জানতে পারেন, পৌরসভার এমএলএসএস মো. মামুন ও শাহীন খান ছাগলটি ধরে নিয়ে গেছেন। ছাগলটি উদ্ধার করতে গেলে মামুন জানান, মেয়রের নির্দেশে তাঁরা ছাগলটি ধরে নিয়ে এসেছেন। তিনি মেয়রের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে বাধা দেওয়া হয়।

জানতে চাইলে পৌর কর্মচারী শাহীন খান বলেন, ‘আমি ছাগল জবাই করিনি। তবে বুধবার সন্ধ্যায় পৌর ভবনে ছাগল জবাই করে খাওয়াদাওয়া হয়েছে।’

পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রইসুল আলম গতকাল বলেন, স্থানীয় সাংসদ বিষয়টি সমাধানের জন্য নির্দেশ দিলেও এখন পর্যন্ত মেয়র এর কোনো সমাধান দেননি।

জানতে চাইলে মেয়র শাহাদাত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘ছাগল জবাই করার বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে এ নিয়ে আমার কাছে কেউ অভিযোগ করেননি। যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের বিচার করব। তবে যে ছাগলটি জবাই করা হয়েছে, বাচ্চা দুটি সেই ছাগলের না।’