বন্যহাতির আক্রমণে রোহিঙ্গার মৃত্যু
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার লম্বাশিয়া-১ রোহিঙ্গা শিবিরে আজ শুক্রবার সকালে বন্যহাতির আক্রমণে এক রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম মো. ইয়াকুব (৪৫)। তিনি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু শহরের সিকদারপাড়ার বাসিন্দা।
হাতির হামলায় আহত হয়েছেন নিহত ইয়াকুবের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৪০) ও তাঁর পাঁচ বছর বয়সী এক ছেলে।
গত বছরের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে দুই দফায় হাতির আক্রমণে ছয় রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়। আগস্টে মিয়ানমারে নির্যাতনের ফলে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের ঢল শুরু হওয়ার পর এযাবৎ সাত রোহিঙ্গার মৃত্যু হলো হাতির আক্রমণে। এবার আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয়শিবির হাতির বিচরণক্ষেত্রের কাছে করার ফলেই এসব ঘটনা ঘটছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
আজকের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ কে এম ইকবাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দলছুট একটি বন্যহাতি হামলা চালায়। এতে হাতির আক্রমণ ও পদদলিত হয়ে এক পরিবারের তিনজন হতাহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলেই ইয়াকুবের মৃত্যু হয়েছে।
উখিয়ার কুতুপালং শিবিরের পশ্চিম পাশের এই লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পটির অবস্থান।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের প্রথম আলোকে বলেন, ২০১৭ সালের ১৪ অক্টোবর উখিয়ার বালুখালী-১ রোহিঙ্গা শিবিরে বন্যহাতির আক্রমণে মা ও তিন শিশুসন্তানসহ চার রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছিল। একই সালের ১৮ সেপ্টেম্বর কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরে বন্যহাতির আক্রমণে বাবা-ছেলেসহ দুই রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়। তিনি বলেন, হাতি চলাচলের রাস্তার পাশে একাধিক রোহিঙ্গা শিবির স্থাপিত হওয়ায় হাতিরদল আশ্রয় হারিয়ে ফেলছে।