লাশ দেখতে গিয়ে লাশ

সকালে এক স্বজনের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে স্বামী বাচ্চু মিয়ার সঙ্গে বাসা থেকে বের হন রুনা আক্তার (৩২)। রামপুরা থেকে মালিবাগে আসার পর রিকশা থেকে নেমে রাস্তা পার হচ্ছিলেন ওই গৃহবধূ। এ সময় দ্রুতগতির একটি বাসের ধাক্কায় মারা যান তিনি।

আজ শনিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে মর্মান্তিক এই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।

রামপুরা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দুলাল মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, পশ্চিম রামপুরার ১১৩ নম্বর আদি লেনে বাসায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন রুনা আক্তার। তাঁর স্বামী বাচ্চু মিয়া অটোরিকশাচালক। তাঁদের দুটি সন্তান রয়েছে। মোসাদ্দেক আলী নামের এক আত্মীয়ের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে স্বামীর সঙ্গে মালিবাগে যাচ্ছিলেন রুনা। রিকশা থেকে নামার পর বাচ্চু মিয়া ভাড়া দিচ্ছিলেন। এ সময় রুনা আক্তার রাস্তা পার হচ্ছিলেন। রামপুরা-মেরাদিয়া রুটে চলাচলকারী রমজান পরিবহনের একটি বাসের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন তিনি। এ সময় বাসটি জব্দ করা হলেও এর চালক ও তাঁর সহকারীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পর রুনাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ময়নাতদন্ত ছাড়াই রুনার লাশ নিয়ে গেছেন তাঁর স্বজনেরা।