সাংসদপুত্র অনীকের ময়নাতদন্তে আত্মহত্যার লক্ষণ

অনীক আজিজ। ছবিটি তাঁর ফেসবুক থেকে নেওয়া।
অনীক আজিজ। ছবিটি তাঁর ফেসবুক থেকে নেওয়া।

সাতক্ষীরা-১ আসনের সাংসদ মুস্তফা লুৎফুল্লাহর ছেলে অনীক আজিজ আত্মহত্যা করেছেন বলেই ময়নাতদন্তে লক্ষণ মিলেছে। আজ রোববার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে তাঁর লাশ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে নিয়ে আসা হয়। ময়নাতদন্ত শেষে বেলা একটায় লাশ নিয়ে যাওয়া হয়।

ময়নাতদন্ত শেষে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের অধ্যাপক এ এম সেলিম রেজা সাংবাদিকদের বলেন, ‘সুরতহাল প্রতিবেদনে আত্মহত্যার যে সন্দেহের কথা বলা হয়েছে, ময়নাতদন্তেও আমরা সে রকম লক্ষণ পেয়েছি। তাঁর শরীরে কোনো দাগ নেই।’

পুলিশ আজ সকালে ঢাকায় এমপি হোস্টেলে সাংসদের বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে। অনীক খুলনা পলিটেকনিক থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে ডিপ্লোমা করেছিলেন। ঢাকায় আইইএলটিএস করছিলেন।

নিহত অনীকের চাচা আলী আহম্মদ মোর্তুজা হাসপাতাল প্রাঙ্গণে প্রথম আলোকে বলেন, আজ ভোর পাঁচটা-সাড়ে পাঁচটার দিকে সাংসদ মুস্তফা লুৎফুল্লাহ ও তাঁর স্ত্রী এবং সাংসদের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা সাতক্ষীরা থেকে বাসায় ফেরেন। দরজা খুলে দেন তাঁদের মেয়ে। বাসায় অনীক, তাঁর ছোট বোন ও এক কাজের লোক থাকতেন। গতকাল কাজের লোকটি ছুটিতে ছিলেন। সাংসদ বাসায় ঢুকেই নিজের ঘরে চলে যান। কিন্তু ব্যক্তিগত কর্মকর্তা সব সময় বাসায় অনীকের সঙ্গে একই কক্ষে থাকতেন। তাই তিনি (পিএস) অনীকের ঘরের দরজা খোলার জন্য টোকা দিতে থাকেন। কিন্তু অনীক কোনো সাড়া না দেওয়ায় অতিরিক্ত চাবি দিয়ে দরজা খোলা হয়। ঘরে ঢুকে অনীককে ফ্যানের সঙ্গে ইন্টারনেটের কেবলের তার দিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।

আলী আহম্মদ আরও বলেন, তাঁরাও বিষয়টি আত্মহত্যাই মনে করছেন। তবে কী কারণে এমনটা হয়েছে তাঁরা কিছু আন্দাজ করতে পারছেন না।

পুলিশ বাসা থেকে অনীকের ব্যবহৃত ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে বলে জানান সাংসদ মুস্তফা লুৎফুল্লাহ।