তদন্ত কর্মকর্তাসহ আরও তিনজনের সাক্ষ্য গ্রহণ

রূপা খাতুন
রূপা খাতুন

টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে বহুজাতিক কোম্পানির কর্মী রূপা খাতুনকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাইয়ুম খান সিদ্দিকীসহ আরও তিনজন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। আজ রোববার তাঁদের সাক্ষ্য নেওয়া হয়।

সাক্ষ্য দেওয়া অন্য দুজন হলেন রূপা যে বাসে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, সেই ছোঁয়া পরিবহনের মালিক আমেনা খাতুনের স্বামী মো. আখতারুজ্জামান ও ছেলে সাব্বির হোসেন।

টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে থাকা প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবুল মনসুর মিয়ার আদালতে রোববার দুপুরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার সাক্ষ্য নেওয়া হয়। এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবী দেলোয়ার হোসেন ও শামীম চৌধুরী তাঁকে জেরা করেন। আদালত আগামী মঙ্গলবার পুনরায় জেরার দিন ধার্য করেছেন।

তদন্তকারী কর্মকর্তার আগে ছোঁয়া পরিবহনের মালিক আমেনা খাতুনের স্বামী মো. আখতারুজ্জামান ও ছেলে সাব্বির হোসেন সাক্ষ্য দেন। আমেনা খাতুন ছোঁয়া পরিবহনের চালক, সুপারভাইজারসহ পাঁচ শ্রমিকের বিষয়ে যে প্রত্যয়নপত্র দিয়েছিলেন, আখতারুজ্জামান ও সাব্বির তা সত্যায়িত করেন। উল্লেখ্য, ছোঁয়া পরিবহনের মালিক আমেনা খাতুন কিছুদিন আগে মারা গেছেন।

চাঞ্চল্যকর এই মামলায় এ নিয়ে ২৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হলো। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ কৌঁসুলি এ কে এম নাছিমুল আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, তদন্তকারী কর্মকর্তার সাক্ষ্য গ্রহণের পর উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে।

৩ জানুয়ারি মামলার বাদী মধুপুরের অরণখোলা ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলামের সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে চাঞ্চল্যকর এই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। গত ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রূপা খাতুনকে চলন্ত বাসে পরিবহনশ্রমিকেরা ধর্ষণ করেন। পরে তাঁকে হত্যা করে টাঙ্গাইলের মধুপুর এলাকায় ফেলে রেখে যান। পুলিশ ওই রাতেই তাঁর লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় অরণখোলা পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে মধুপুর থানায় মামলা করেন।

পরে পুলিশ ছোঁয়া পরিবহনের চালক হাবিবুর (৪৫), সুপারভাইজার সফর আলী (৫৫) এবং চালকের সহকারী শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীরকে (১৯) গ্রেপ্তার করে। পুলিশের কাছে তাঁরা রূপাকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেন।