আবাসিক হোটেলে তরুণ-তরুণীর লাশ

sylhet
sylhet

সিলেট নগরের একটি আবাসিক হোটেল থেকে তরুণ-তরুণীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার রাত ১০টার দিকে নগরের সেবাহানীঘাট এলাকার হোটেল মেহেরপুর থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।

হোটেলের নিবন্ধন খাতায় ওই তরুণীর নাম রুমি পাল (২২) ও বাড়ি সিলেটের জৈন্তাপুর উল্লেখ করা হয়েছে। তরুণের নাম লেখা আছে মিন্টু দেব (৩০)। মিন্টুর বাড়ি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর লেখা হয়েছে।

সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গৌছুল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, কিছু আলামত থেকে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে তরুণীকে হত্যা করে তরুণ আত্মহত্যা করেছেন। তরুণীর গলায় শ্বাসরুদ্ধ করার দাগ পাওয়া গেছে। দুটি লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাতের পালায় থাকা হোটেলের ব্যবস্থাপক আবদুল ওয়াদুদকে আটক করা হয়েছে।

হোটেল মেহেরপুরের অবস্থান নগরের সোবহানীঘাট এলাকায়। লাশ উদ্ধারের সময় সেখানে গিয়ে দেখা গেছে, আশপাশ এলাকার মানুষজন ভিড় করেছেন হোটেলে। ব্যবস্থাপকের দপ্তরের দিনের নিবন্ধন খাতায় নিহত দুজনের নাম রুমি পাল ও মিন্টু দেব লেখা ও তাঁদের সই পাওয়া গেছে। রুমির পেশা স্কুল শিক্ষিকা লেখা, স্কুলের নাম নেই।
হোটেল সূত্র জানায়, দুপুর ১২টার দিকে দুজন স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে হোটেল কক্ষ বরাদ্দ নেন। তাঁরা দ্বিতীয় তলার ২০৬ নম্বর কক্ষে ওঠেন। বিকেল তিনটার পর তাঁরা দুজন একসঙ্গে বের হয়ে সন্ধ্যার আগে আবার ঢোকেন। রাতে খাবারের বিষয়টি জানাতে গিয়ে হোটেলকর্মী কক্ষের ভেতর কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে হোটেল ব্যবস্থাপককে জানান। পরে দরজা ভেঙে দুজনকে মৃত পাওয়া যায়।

পুলিশ জানায়, রাত ১১টার দিকে হোটেলে রুমি পালের এক আত্মীয় এসে রুমি পালকে শনাক্ত করেছেন। মিন্টু দেবের পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি।