সম্পন্ন হলো 'রিভার ক্যাম্প ২০১৮'

তরুণ প্রজন্মকে নদী-সংবেদনশীল করে গড়ে তোলার প্রত্যাশায় চার দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা ‘রিভার ক্যাম্প ২০১৮’ সম্পন্ন হলো। ঢাকার ন্যাশনাল একাডেমি ফর এডুকেশনাল ম্যানেজমেন্টের (নায়েম) প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স হলে এটি অনুষ্ঠিত হয়। আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা অক্সফাম ও সুইডিশ সরকারের সহায়তায় ট্রান্স-বাউন্ডারি রিভার্স ফর আওয়ার সাচটেইনেবল অ্যাডভান্সমেন্ট (ট্রোসা) প্রকল্পের আওতায় প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে ক্যাম্পটির আয়োজন করছে রিভারাইন পিপল ও সেন্টার ফর ন্যাচারাল রিসোর্স স্টাডিজ (সিএনআরএস)।

প্রতিযোগিতামূলক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সারা বাংলাদেশ থেকে নির্বাচিত ৩৫ জন তরুণ-তরুণী এই ক্যাম্পে অংশ নিয়েছেন। এই আয়োজনের অংশ হিসেবে রিভার ক্যাম্পের অংশগ্রহণকারীরা চাঁদপুরে মাঠপর্যায়ের গবেষণা হাতেকলমে শিখতে যান। আগামী দিনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নদী ব্যবস্থাপনা ও একটি সংবেদনশীল নেতৃত্ব গড়ে তোলার উদ্দেশ্যেই এই ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। কর্মশালার শেষ পর্বে অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন নদীর অববাহিকায় গিয়ে স্থানীয় জনগণের কাছ থেকে নদীসংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে হাতেকলমে আলোচনা করে নদীবিষয়ক গবেষণার সুযোগ পেয়েছেন।

বৃহস্পতিবার নায়েমে অনুষ্ঠিত রিভার ক্যাম্পের উদ্বোধন করেছেন বিশিষ্ট নদীবিশেষজ্ঞ আইনুন নিশাত। চার দিনের সমাপনী পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে রিভার ক্যাম্পে উপস্থিত ছিলেন অর্থনীতিবিদ আতিউর রহমান। তিনি বলেন, ‘তরুণেরাই বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছে, এই তরুণেরাই বাঁচাতে পারে নদী। আমরাই যদি নতুন নেতৃত্ব তৈরি করতে পারি, তাহলে তা আমাদের ও নতুন প্রজন্মেও জন্য ভালো। আসুন, নদী বাঁচানোর জন্য সে রকম একটা মহৎ যাত্রায় যোগ দিই।’

সমাপনী পর্বে বিশেষ অতিথি বিআইডব্লিউটিএর সাবেক সচিব সৈয়দ মনোয়ার হোসেন বলেন, বিভার ক্যাম্প একটি চমৎকার উদ্যোগ। এ রকম উদ্যোগ না নিলে বাংলাদেশের অস্তিত্ব টিকবে না।

রিভার ক্যাম্পের সমাপনী পর্বে আরও উপস্থিত ছিলেন জল পরিবেশ ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান ম. ইনামুল হক, চেয়ারম্যান, জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমির (নায়েম) মহাপরিচালক মো. হামিদুল হক, বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, বিশ্বব্যাংকের পরামর্শক ইসতিয়াক সোবহান, যৌথ নদী রক্ষা কমিশনের সদস্য শারমিন মুর্শিদ প্রমুখ।