আইভীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ থানায়

নারায়ণগঞ্জে ফুটপাতে হকার বসানোকে কেন্দ্র করে মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী ও তাঁর সমর্থকদের ওপর হামলার ঘটনায় নিয়াজুল ইসলাম খান, শাহ নিজামসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। একই সঙ্গে অজ্ঞাত আরও ৯০০ থেকে ১০০০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় আইভীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়। থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের আইন কর্মকর্তা এম এ সাত্তার।

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, অভিযোগটি গ্রহণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।

১৭ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় ফুটপাতে হকার বসানোকে কেন্দ্র করে সিটি মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর ওপর সাংসদ শামীম ওসমানের কর্মী-সমর্থকেরা হামলা চালান বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। সায়েম প্লাজা থেকে আইভীর লোকজনের ওপর বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল ছোড়া হয়। পিস্তল উঁচিয়ে ফাঁকা গুলিও ছোড়া হয়। এ সময় ধাক্কাধাক্কিতে সড়কে পড়ে যান সেলিনা হায়াৎ আইভী।

মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী ও তাঁর সমর্থকদের জমায়েতে অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি করেন নিয়াজুল ইসলাম খান । নারায়ণগঞ্জ শহরের চাঁদমারী এলাকার বাসিন্দা নিয়াজুল ইসলাম খান যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তবে তিনি এলাকায় নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আওয়ামী লীগের সাংসদ এ কে এম শামীম ওসমানের ক্যাডার হিসেবে পরিচিত। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি এলজিইডির ঠিকাদারি ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, ১৯৮৬ সালে এরশাদের সময় নাসিম ওসমান সাংসদ হলে নিয়াজুলের উত্থান ঘটে। ১৯৮৮ সালে সংঘটিত জোড়া খুনের (কামাল ও কালাম) মামলার আসামি ছিলেন তিনি। ১৯৯৬ সালে শামীম ওসমান সাংসদ নির্বাচিত হলে নিয়াজুল অস্ত্রের লাইসেন্স পান। নিজেকে যুবলীগের নেতা পরিচয় দিয়ে চলতেন।