ডিবি পরিচয়ে ব্যবসায়ীর টাকা লুট!

বগুড়ার শেরপুরে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিচয়ে দুজন ব্যবসায়ী ও এক ব্যবসায়ীর ব্যবস্থাপককে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে ৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা লুট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। টাকা লুটের পর ওই তিনজনকে সিরাজগঞ্জের ধানগড়া এলাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়।

এ ঘটনার শিকার তিনজন হলেন ধান ব্যবসায়ী রাশিদুজ্জামান (৩৫), তাঁর ব্যবস্থাপক সাহেব আলী (৪০) ও আরেক ধান ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন (৩৬)। তাঁদের বাড়ি উপজেলার ছোনকা এলাকায়। পরে তাঁদের শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

উপজেলার ইটালী সড়ক এলাকা থেকে মঙ্গলবার বেলা তিনটার দিকে গোয়েন্দা পুলিশের পরিচয়ে ওই তিনজনকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নেওয়া হয়।

ব্যবসায়ী রাশিদুজ্জামান প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, বেলা আড়াইটায় শহরের ধুনট রোড এলাকায় একটি ব্যাংক থেকে সাড়ে আট লাখ তোলা হয়। তাঁর কাছে আরও ২০ হাজার টাকা ছিল। এই টাকা নিয়ে সীমাবাড়ীর চান্দাইকোনা বাজারে ধান কেনার জন্য তাঁরা তিনজন একটি মোটরসাইকেলে করে রওনা দেন। পথে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের ইটালী এলাকায় পৌঁছালে একটি মাইক্রোবাস তাঁদের গতিরোধ করে। এরপর মাইক্রোবাস থেকে ডিবি পুলিশের পোশাকে ছয়জন ব্যক্তি নেমে তাঁদের জোর করে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। এরপর তাঁদের সবার চোখ-মুখ ও হাত বেঁধে মারধর করা হয় এবং তাঁদের কাছ থেকে ৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা কেড়ে নেওয়া হয়। পরে চোখ বাঁধা অবস্থায় সিরাজগঞ্জের ধানগড়া এলাকায় তাঁদের ফেলে দিয়ে চলে যায় ওই ছয় ব্যক্তি।

আহত ব্যবস্থাপক সাহেব আলী বলেন, ডিবি পলিশের পরিচয়দানকারী একজনের কাছে একটি পিস্তল ছিল।

শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ব্যবসায়ীরা ঘটনা জানিয়েছেন। ওই সময়ে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কোনো দল এ এলাকায় ছিল না। ডিবির পরিচয়ে টাকা লুট করা হয়েছে। আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় কারা জড়িত, তা খুঁজে বের করতে কাজ করছে পুলিশ।