রূপরেখা দিয়ে লাভ হবে না: হাছান

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির গোলটেবিল মিলনায়তনে মঙ্গলবার বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন হাছান মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির গোলটেবিল মিলনায়তনে মঙ্গলবার বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন হাছান মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপিকে উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং দলের অন্যতম মুখপাত্র হাছান মাহমুদ বলেছেন, নির্বাচনী সরকারের রূপরেখা দিয়ে কোনো লাভ হবে না। সংবিধানের আলোকে নির্বাচনের সময় বর্তমান সরকারই ক্ষমতাই থাকবে এবং শেখ হাসিনাই প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন।

আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির গোলটেবিল মিলনায়তনে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিএনপির ষড়যন্ত্র ও আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আপনারা হরেক রকমের রূপরেখা দিতে পারেন কিন্তু সংবিধানের বাইরে কিছুই হবে না। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের সময়ে বর্তমান সরকারই ক্ষমতায় থাকবে। হয়তো সরকারের আকার ছোট হতে পারে। সংসদীয় গণতন্ত্র যেসব দেশে চালু আছে, সব দেশে এ পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। সুতরাং বাংলাদেশে বিএনপির মনগড়া রূপরেখা দিয়ে কোনো লাভ হবে না।

বিএনপি তার জন্মের সময়ের গ্লানি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম, এরশাদবিরোধী আন্দোলন এবং এক-এগারো সরকারবিরোধী আন্দোলনে বিএনপি অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে তারা তাদের জন্মের গ্লানি থেকে বেরিয়ে আসবে। পরবর্তী সময়ে আমরা দেখতে পেলাম, সামরিক ছাউনির মধ্যে যে বিএনপির জন্ম এবং জন্মের পরিচয়ের মধ্যে যে গ্লানি, সেই গ্লানি থেকে তারা মুক্ত হতে পারেনি। বিএনপি গণতন্ত্রকে হত্যা করার লক্ষ্যেই কাজ করছে।’

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাম্প্রতিক বক্তব্যের সমালোচনা করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আপনারা ২০১৪ সালে হুংকার দিয়ে বলেছিলেন, দেশে কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। তখন ২০-দলীয় জোটের বিষদাঁত বাংলাদেশের মানুষ ভেঙে দিয়েছে। বিএনপি এখন দন্তহীন বিষধর সাপে রূপান্তরিত হয়েছে।’

বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ করে হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করে কোনো লাভ হবে না। আগামী নির্বাচন নিয়ে যদি আপনারা আবার ষড়যন্ত্র করেন, তাহলে এবার আপনারা রাজনৈতিকভাবে আত্মহত্যা করবেন এবং আপনাদের আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। তাই সেই চেষ্টা না করে গণতন্ত্রের পথে হাঁটুন। সংবিধান অনুযায়ী যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার প্রস্তুতি গ্রহণ করুন।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মো. জিন্নাত আলী খানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ, তাঁতি লীগের সভাপতি সাধনা দাশ গুপ্তা, আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দার, এম এ করিম প্রমুখ।