দুদকের মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

potuakhali
potuakhali

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. শাহিন হাওলাদার এবং এক সরকারি কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে জেলা শহরের মুসলিমপাড়া এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

২০১৬ সালে হতদরিদ্র মানুষের মধ্যে সুলভ মূল্যে চাল বিক্রির কর্মসূচিতে অনিয়মের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় দুদকের একটি দল তাঁদের গ্রেপ্তার করে।

শাহিন হাওলাদার কনকদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। ওই সরকারি কর্মকর্তার নাম মো. সাইদুর রহমান। ২০১৬ সালে তিনি ছিলেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। বর্তমানে তিনি বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা। ওই ইউনিয়নে হতদরিদ্র মানুষের মধ্যে চাল বিতরণ কর্মসূচির তদারক কর্মকর্তা ছিলেন তিনি।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম তাঁদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আজ রোববার তাঁদের বিরুদ্ধে পটুয়াখালীর দুদকের উপসহকারী পরিচালক বাদী হয়ে বাউফল থানায় মামলা করেছেন।

দুদকের পটুয়াখালীর উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘১০ টাকার চাল বিতরণে অনিয়মসংক্রান্ত প্রথম আলোতে সংবাদ প্রকাশের পর আমরা তদন্তে নামি। তদন্তে সত্যতা পাওয়া যায়। এরপরে মামলা করে তাঁদের গ্রেপ্তার করি। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের জন্য প্রথম আলোকে ধন্যবাদ জানাই।’ গ্রেপ্তারের পর তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

২০১৬ সালের ১১ অক্টোবর প্রথম আলোতে ‘বিত্তশালীরা পাচ্ছেন ১০ টাকার চাল, বঞ্চিত হতদরিদ্ররা’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় ১০ টাকা কেজিতে চাল বিক্রির সরকারি কার্যক্রম হতদরিদ্রদের জন্য হলেও কোথাও কোথাও তা পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবী, স্কুলশিক্ষক, ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্যসহ বিত্তশালীরা। তাই হতদরিদ্র অনেক পরিবার এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

২০১৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুড়িগ্রামে ১০ টাকা কেজিতে চাল বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছিলেন। হতদরিদ্র মানুষের জন্য চালু হওয়া এই কার্যক্রমের আওতায় সারা দেশের ৫০ লাখ পরিবারকে ১০ টাকা কেজি দরে চাল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

২০১৬ সালের ১ অক্টোবর পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় শুরু হয় ১০ টাকায় চাল বিক্রির কার্যক্রম। এই কার্যক্রমে চাল বিতরণ, পরিমাপ করা এবং হতদরিদ্রদের তালিকা করা নিয়ে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়।