বাগেরহাটে ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার

নাশকতার অভিযোগে বাগেরহাট জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম ভূঁইয়াকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা-ডিবি। ডিবি কার্যালয়ে রেখে নূরে আলমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বাগেরহাট জেলা ছাত্রদল তাদের দলের সাধারণ সম্পাদকের মুক্তি দাবি করেছে।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে বাগেরহাট শহর থেকে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করে বলে পুলিশ জানিয়েছে। নূরে আলম পরিবারের দাবি, গতকাল বিকেলে খুলনা মহানগরের কালিবাড়ি এলাকা থেকে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। তিনি নাশকতাসহ মোট চারটি মামলায় এখন জামিনে আছেন।

নূরে আলম ভূঁইয়ার বড় ভাই বাগেরহাট পৌর শ্রমিক দলের সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া আজ বুধবার সকালে এই প্রতিবেদককে বলেন, গতকাল বিকেলে খুলনা মহানগরের কালিবাড়ি এলাকা থেকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ আমার ছোট ভাই ছাত্রদল নেতা নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করে। সে সব মামলায় জামিনে রয়েছে। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে আমার ছোট ভাই বেশ কিছুদিন ধরে এলাকা ছেড়ে খুলনায় তার শ্বশুরবাড়িতে থাকছিল। পুলিশ হয়রানি করতে তাকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করেছে।

বাগেরহাট জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সুজা উদ্দিন মোল্লা বলেন, ‘আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করা হয়েছে। এই রায়কে ঘিরে জেলায় দলের নেতা-কর্মীরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ঠিক সেই সময়ে দলের সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম ভূঁইয়াকে মিথ্যা অভিযোগে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। আমরা তাঁর মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।’

বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায় আজ সকালে প্রথম আলোকে বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করতে নূরে আলম ভূঁইয়া গোপনে বাগেরহাটে নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন বলে অভিযোগ পেয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে নাশকতার মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। নাশকতার অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।