সড়ক দুর্ঘটনা কমেছে: ওবায়দুল কাদের

ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি

দেশে সড়ক দুর্ঘটনা কমেছে বলে দাবি করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে তিনি এ দাবি করেন।

আজ ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

সরকারি দলের সদস্য কামরুল আশরাফ খানের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, পুলিশ বিভাগের সড়ক দুর্ঘটনার তথ্য অনুসারে, প্রতি ১০ হাজার যানবাহনে মৃত্যুর হার ২০১১ সালে ১৫ দশমিক ১২, ২০১২ সালে ১৩ দশমিক ৭৬, ২০১৩ সালে ৯ দশমিক ৮৮, ২০১৪ সালে ৯ দশমিক ৬৫, ২০১৫ সালে ৯ দশমিক ৬৫ ও ২০১৬ সালে ৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ ছিল। এখান থেকে বোঝা যায় সড়ক দুর্ঘটনা কমেছে।

স্বতন্ত্র সাংসদ রহিম উল্লাহর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, অনেকে কথায় কথায় সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ার মতো হওয়ার কথা বলেন। এ ধরনের কথা বলা একধরনের হীনম্মন্যতার পরিচয়। সরকার সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, হংকংকে পেছনে ফেলে আরও ওপরে উঠতে চায়। নিজস্ব অর্থায়নে বিশ্বের বৃহৎ পদ্মা সেতু নির্মাণের কথা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশ সিঙ্গাপুর-মালয়েশিয়া হবে কেন? আমরা বাংলাদেশ হব। হব সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।’

চলছে ৩৫০ ট্রেন

সরকারি দলের আফতাব উদ্দিন সরকারের প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, রেলওয়েতে মোট ৩৫০টি ট্রেন বিভিন্ন রুটে চলাচল করছে। এর মধ্যে আন্তনগর ৮৮টি, মেইল ও কমিউটার ১৩২টি, লোকাল ১২৬টি ও মৈত্রী ট্রেন ৪টি।

সরকারি দলের দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে রেলপথমন্ত্রী বলেন, রেলওয়েতে লাইনচ্যুতিসহ মেইন ও শাখা লাইনে ২০০৯-১০ সালে ৩০৮টি দুর্ঘটনায় ২২ জন নিহত ও ৩৬ জন আহত হন। ২০১০-১১ সালে ২২৪টি দুর্ঘটনায় ৩৮ জন নিহত ও ১১৪ জন আহত, ২০১১-১২ সালে ১৮২টি দুর্ঘটনায় ২১ জন নিহত ও ৪১ জন আহত, ২০১২-১৩ সালে ১৭৬টি দুর্ঘটনায় ২৮ জন নিহত ও ৫৫ জন আহত, ২০১৩-১৪ সালে ২০৩টি দুর্ঘটনায় ৪৩ জন নিহত ও ১৪০ জন আহত, ২০১৪-১৫ সালে ১০৯টি দুর্ঘটনায় ২৭ জন নিহত ও ৯০ জন আহত, ২০১৫-১৬ সালে ১১৭টি দুর্ঘটনায় ১২ জন নিহত ও ৩৪ জন আহত, ২০১৬-১৭ সালে ৭২টি দুর্ঘটনায় ১২ জন নিহত ও ৭৬ জন আহত হয়েছেন। এ সময়ে রেল দুর্ঘটনায় সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২৫ কোটি ৫৫ লাখ ৪৮ হাজার ৮৬৪ টাকা।

পাটকলগুলোতে কেবল লোকসান

সাধন চন্দ্র মজুমদারের প্রশ্নের জবাবে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী মুহা. ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক বলেন, বর্তমানে দেশে সরকারি পাটকল ২৬টি ও বেসরকারি ১৮৪টি।

সরকারি দলের নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, পাটকলগুলোতে ২০০৯-১০ অর্থবছরে ২৭৫ কোটি ২৩ লাখ, ২০১১-১২ অর্থবছরে ৭৮ কোটি ৩৫ লাখ, ২০১২-১৩ অর্থবছরে ৩৯৬ কোটি ৯৭ লাখ, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৫১৩ কোটি ৮ লাখ, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৭২৯ কোটি ১ লাখ ও ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৬৫৬ কোটি ৮১ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে।