সাংবাদিককে কেটে ফেলার হুমকি মেয়রের

উন্নয়নকাজে অনিয়ম নিয়ে প্রতিবেদন করেন দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ-এর ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলা প্রতিনিধি খুরশিদ আলম ওরফে শাওন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে রানীশংকৈল পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আলমগীর সরকার মুঠোফোনে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে তাঁকে কেটে ফেলার হুমকি দিয়েছেন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথোপকথন ছিল এ রকম:
পৌর মেয়র: হ্যালো, শাওন না।
শাওন: হ্যাঁ।
পৌর মেয়র: কোথায় আছো?
শাওন: কে?
পৌর মেয়র: আলমগীর মেয়র। কোথায় আছো তুমি?
শাওন: আমি তো বাসায়।
পৌর মেয়র: বাসা থেকে শান্তিপুরের রাস্তায় আসো। এটা কী বুঝে তুমি করলা?
শাওন: কোনটা?
পৌর মেয়র: রাস্তার নিউজটা। বড় বড় অফিসাররা আসছে, এখানো আসো মিয়া।
শাওন: আমরা যা দেখছি তাই পত্রিকায় দিছি।
পৌর মেয়র: এই ব্যাটা (অশ্লীল ভাষা) ..., একদম লোথায় কোমর ভাঙে দিবো ব্যাটা। … (অশ্লীল ভাষা), ব্যাটা।
শাওন: আপনি এভাবে কথা বলিয়েন না।
পৌর মেয়র: ওই ব্যাটা, ব্যাটা…। … (অশ্লীল ভাষা) তুই ব্যাটা। রাস্তায় আয় ব্যাটা।
শাওন: এভাবে কথা বলিয়েন না, ভাই।
পৌর মেয়র: এই তোকে কী বলব রে তোর গলা চাপে ধরব (অশ্লীল ভাষা) …।
শাওন: না ভাই, এটা বলিয়েন না।
পৌর মেয়র: এই তোর সাহস নাই, তোর বাপের সাহস নাই এখানে আসার।
শাওন: এভাবে বলিয়েন না। আপনি কিন্তু ঠিকাদার না, ভাই।
পৌর মেয়র: আমি ঠিকাদার না কী, দেখ ব্যাটা। আমি মেয়র। মানুষের কথায় লড়তেছিস।
শাওন: আমরা কারও কথায় লড়ি না, ভাই। আপনি ভুল বুঝতেছেন বিষয়টা।
পৌর মেয়র: ব্যাটা তোকে চেপকায় দিব…। সাংবাদিকের গুষ্টি… (অশ্লীল ভাষা) ব্যাটা।
শাওন: না ভাই, আপনি এভাবে বলিয়েন না।
পৌর মেয়র: তুই সাংবাদিকতা… (অশ্লীল ভাষা)। একেবারে কাটে ফালায় দিব, ব্যাটা।
শাওন: দেন ভাই, ওটা আপনি যদি পারেন কাটে দেন, সমস্যা নাই।
শাওন অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটার দিকে তাঁর মুঠোফোনে ফোন করে পৌর মেয়র আলমগীর সরকার মারধর ও কেটে ফেলার হুমকি দেন। ঘটনার পর থেকে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ ঘটনায় তিনি বৃহস্পতিবার রাতে রানীশংকৈল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
এ ব্যাপারে কথা বলতে পৌর মেয়রের মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
রানীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মান্নান জানান, এ বিষয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি হয়েছে।