প্যান্ডেলের পরীক্ষাকেন্দ্র 'টিনের ঘর' হচ্ছে

মাঠে কাপড়ের প্যান্ডেল দিয়ে তৈরি সুনামগঞ্জের সেই এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রটিতে টিনের ঘর হবে। জেলা প্রশাসক মো. সাবিরুল ইসলাম আজ সোমবার দুপুরে প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। কাল থেকে শিক্ষার্থীরা এই টিনের ঘরে পরীক্ষা দেবে।

গতকাল রোববার প্রথম আলোয় এ নিয়ে ‘মাঠে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে ৪০০ শিক্ষার্থী’ শিরোনামে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। নিজ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে পারবে না—এই নীতিমালার কারণেই মাত্র ১৫ ফুট দূরত্বের জাহাঙ্গীরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এই ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এ জন্য ওপরে ও পাশে কাপড় দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল ১০০ হাত লম্বা ও ২৪ হাত প্রস্থের একটি প্যান্ডেল। এই প্যান্ডেলে শীতের সকালে কুয়াশা, ঠান্ডা বাতাস আর দুপুরের রোদের ভোগান্তি সয়ে পরীক্ষা দিয়েছে বড়খাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৪০০ শিক্ষার্থী।

এ নিয়ে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। পাশাপাশি বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর প্রশাসন নীতিমালা ঠিক রেখে শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে আজ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক ও বড়খাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. নজির আহমদ জানান, কেন্দ্রের নাম বড়খাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ হলেও পরীক্ষার স্থান হিসেবে উল্লেখ রয়েছে পাশের জাহাঙ্গীরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এবার এই কেন্দ্রে ছয়টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৮১৫ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষা অংশ নিচ্ছে। কিন্তু ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাত্র ২৫০ জন শিক্ষার্থীর বসার ব্যবস্থা আছে।

নজির আহমদ বলেন, এবার তাঁর বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থী আছে ২৭৫ জন। নীতিমালা অনুযায়ী এই শিক্ষার্থীরা নিজ বিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে পারে না। আবার জাহাঙ্গীরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থান সংকুলান হচ্ছে না। তাই বিদ্যালয়ের মাঠে এই প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছিল। নীতিমালার কারণে বড়খাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে ১৫টি কক্ষ খালি থাকার পরও মাঠের প্যান্ডেলে পরীক্ষা নিতে হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মো. সাবিরুল ইসলাম বলেন, ‘আজকের মধ্যে প্যান্ডেলের ওপরে ও পাশে টিন লাগানো হবে। আগামীকাল থেকে টিনের ঘরে পরীক্ষা হবে। আশা করি, শিক্ষার্থীদের আর কোনো অসুবিধা হবে না।’ তিনি আরও বলেন, যেহেতু নীতিমালায় আছে নিজ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে পারবে না, তাই নীতিমালা ঠিক রেখেই শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।