আমি 'কটাজব্বার', ডিসি-এসপি কিছু করতে পারবে না

>• খুলনা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আনোয়ারুলকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ।

খুলনা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সৈয়দ মো. আনোয়ারুল ইসলামসহ তাঁর কার্যালয়ের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার এ ঘটনা ঘটলেও কেন ও কী কারণে এই হুমকি তা নিশ্চিত করে বলতে পারছে না পুলিশ।
পুলিশ বলছে, হুমকিদাতাকে শনাক্ত করা গেছে। তাঁর নাম ইয়াছিন জব্বার। নগরের মুসলমানপাড়ায় তাঁর একটি দুগ্ধখামার আছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বেলা দেড়টার দিকে খুলনা নগরের পাওয়ার হাউস মোড়ে অবস্থিত জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে ঢোকেন কয়েকজন ব্যক্তি। তাঁরা ঢুকেই কার্যালয়ের ফটকে তালা লাগিয়ে দেন। পরে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ে ঢুকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। তাঁদের একজন তিন দিনের মধ্যে অফিসে তালা লাগানো না হলে তাঁকে হত্যার হুমকি দেন। কার্যালয়ের অন্যরা প্রতিবাদের চেষ্টা করলে তাঁদেরও একই হুমকি দেওয়া হয়। বের হয়ে যাওয়ার সময় হুমকিদাতা নিজেকে ‘কটাজব্বার’ নামে পরিচয় দেন। বলেন, ডিসি-এসপিসহ কেউই তাঁর কিছু করতে পারবে না।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আনোয়ারুল এ ঘটনায় সোমবার বিকেলেই নগরের সোনাডাঙ্গা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। এতে হুমকিদাতাদের তিনি চেনেন না বলে উল্লেখ করেন।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সৈয়দ আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘যারা হুমকি দিতে এসেছিল, আমি তাদের আগে কখনো দেখিনি। হুমকিদাতার পরনে গেরুয়া রঙের গেঞ্জি ও একই রঙের ঢিলা প্যান্ট ছিল। হুমকির ঘটনায় কার্যালয়ের সবাই আতঙ্কে
রয়েছেন।’
ঘটনাটি তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছেন সোনাডাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক মনিরুল ইসলাম। প্রথম আলোকে তিনি গতকাল বলেন, পুলিশ হুমকিদাতাকে চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছে। ইয়াছিন জব্বার নামের ওই ব্যক্তির নগরের মুসলমানপাড়ায় একটি দুগ্ধখামার আছে। তিনি ব্যবসায়ী হিসেবেই এলাকায় পরিচিত। কেন ও কী কারণে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন, তা বের করার চেষ্টা চলছে। ইয়াছিন জব্বারের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে পায়নি পুলিশ।