রায় ঘোষণায় প্রস্তুত আদালত

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় রায় হওয়ার কথা আজ বৃহস্পতিবার। বকশীবাজারে আদালত চত্বর এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তুলেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। ঢাকা, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮। ছবি: আসাদুজ্জামান।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় রায় হওয়ার কথা আজ বৃহস্পতিবার। বকশীবাজারে আদালত চত্বর এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তুলেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। ঢাকা, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮। ছবি: আসাদুজ্জামান।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার দিন আজ বৃহস্পতিবার। এ উপলক্ষে রাজধানীর পুরান ঢাকার বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে প্রস্তুত আদালত। সকাল ১০টা থেকে আদালতের কার্যক্রম শুরু হবে।

আদালতের ভেতর বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বসার জন্য একটি চেয়ার ও চেয়ারের সামনে দুটি ছোট টেবিল রাখা হয়েছে। এরই মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের কয়েকজন আইনজীবী হাজির হয়েছেন। কারাগারে থাকা মামলার আসামি ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও বিএনপির সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামালকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।

আদালতের ভেতরে সাদাপোশাক ও ইউনিফরম পরা অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা হাজির হয়েছেন। সেখানে গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিও দেখা গেছে। আদালত ভবনের বাইরের প্রাঙ্গণে র‍্যাব ও পুলিশ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। আদালত ভবনের সামনেও কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা দেখা গেছে। আদালত এলাকায় ঢুকতে প্রত্যেককে তিন স্তরের নিরাপত্তা তল্লাশি পার হতে হচ্ছে। শুরুতে বকশীবাজার গেটের সামনে, এরপর আদালত প্রাঙ্গণে ঢোকার মূল গেট ও আদালত ভবনে ঢোকার সময় তল্লাশি করা হচ্ছে।

মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আদালতের আশপাশ এলাকায় কঠোর নিরাপত্তাবেষ্টনী গড়ে তোলা হয়েছে। বকশীবাজার মোড়ে বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। চানখাঁরপুল মোড়ে নিরাপত্তা তল্লাশি চৌকি বসানো হয়েছে। বকশীবাজারের আশপাশে রাস্তাতেও পুলিশ সদস্যরা অবস্থান করছেন। আশপাশের সব দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।

গত ২৫ জানুয়ারি যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে ঢাকার বিশেষ জজ-৫ আদালতের বিচারক আকতারুজ্জামান রায়ের জন্য দিন ঠিক করেন।

২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই দুদক খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করে। ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট এই মামলায় খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, মাগুরার বিএনপির সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগনে মমিনুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। মামলায় শুরু থেকে কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান পলাতক।