এবার ক্ষীরশাপাতি আমের জিআই পেতে আবেদন

ক্ষীরশাপাতি আম। ছবি: সংগৃহীত
ক্ষীরশাপাতি আম। ছবি: সংগৃহীত

জামদানি ও ইলিশ মাছের পর এবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের ক্ষীরশাপাতি আম ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই (জিওগ্রাফিক্যাল ইনডিকেশন) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এই সম্ভাবনা বাস্তবে রূপ পেলে এ আম বাংলাদেশের নিজস্ব পণ্য হিসেবে সারা বিশ্বে স্বীকৃতি পেতে পারে।

ক্ষীরশাপাতি আমের জিআই নিবন্ধন পেতে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ২ ফেব্রুয়ারি পেটেন্ট ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক অধিদপ্তরের রেজিস্ট্রারের কাছে আবেদন করেছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আবেদনপ্রক্রিয়া শেষ হয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণাকেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. শরফ উদ্দিন বলেন, ‘জেলার সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সুস্বাদু জাতের আম হলো ক্ষীরশাপাতি। জিআই পণ্য হিসেবে এই আম নিবন্ধন পেতে চলেছে। এটি চাষিদের জন্য আনন্দের বিষয়। আমরা বিষয়টি নিয়ে আনন্দিত।’ তিনি বলেন, এটি জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধিত হলে দেশে যেমন এই আমের চাহিদা বাড়বে, তেমনি আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা বাড়তে থাকবে। আমটি যে দেশেই রপ্তানি হোক, এর স্বত্ব চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাবাসী উপভোগ করবে। বাণিজ্যিক চাষাবাদে এটি একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে। এই জেলার সামগ্রিক অর্থনীতিতে এ আম আরও গুরুত্ব বহন করবে।

আমের বিভিন্ন জাতের মধ্যে অন্যতম সুস্বাদু ক্ষীরশাপাতি। এটি হিমসাগর নামেও পরিচিত। এর আকার মাঝারি ও অনেকটা ডিম্বাকৃতির। গড়ে এটি লম্বায় ৮ দশমিক ৬ সেন্টিমিটার এবং ওজন ২৬৩ দশমিক ৯ গ্রাম। কাঁচা থাকতে এর রং সবুজ থাকলেও পাকলে সামান্য হলদে হয়। আঁশবিহীন শাঁস ও গড় মিষ্টতা ২৩ শতাংশ। ফলের খোসা সামান্য মোটা ও শক্ত হলেও আঁটি পাতলা। আহার উপযোগী অংশ ৬৭ দশমিক ২ শতাংশ। সাধারণত জ্যৈষ্ঠের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে পাকা শুরু করে। বর্তমানে দেশের উৎপাদিত আমের ২০-২৫ শতাংশই ক্ষীরশাপাতি।