খুলনা ও বরিশাল অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে

প্রথম আলো ফাইল ছবি
প্রথম আলো ফাইল ছবি

মাঘ যাই যাই করছে। মাত্র দিন দুয়েক বাকি। তাই বলাই যায়, শীতের গীত এখানেই শেষ। ফুলবন আর উদাস হাওয়ায় বসন্তের গান। একটু একটু করে বাড়ছে উষ্ণতা। উড়ুক্কু মেঘ ময়ূরপঙ্খী নাও ভাসাতে তৈরি। আবহাওয়া অধিদপ্তর এরই মধ্যে আভাস দিয়েছে, এই মেঘ বৃষ্টি নিয়ে আসবে।

আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের মতে, সূর্যের অবস্থান বদলের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ ও আশপাশের অঞ্চল থেকে শীত বিদায় নিতে শুরু করে। দিন বড় হতে থাকে। সূর্যের কিরণের তেজ বাড়ে। এর সঙ্গে পশ্চিমা লঘুচাপ এবং পূর্ব দিক থেকে বাংলাদেশ ও আশপাশের অঞ্চলের ওপর দিয়ে বাতাস বয়ে যেতে শুরু করে। পশ্চিমা লঘুচাপ ও পূর্ব দিকের বাতাসের সংমিশ্রণ ঘটলে বজ্রঝড় ও শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা থাকে। মার্চ মাসে এ ধরনের ঝড়বৃষ্টির মাত্রা বৃদ্ধি পায়। তবে মধ্য ফেব্রুয়ারি থেকে বজ্রঝড়-বৃষ্টির প্রাক-প্রস্তুতি দেখা যায়। এখন এই প্রাক-প্রস্তুতিরই লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।

আজ শনিবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, পুবালি বাতাসের প্রভাবে মেঘ আসছে। এ কারণে দেশের দক্ষিণে খুলনা ও বরিশাল অঞ্চলের কিছু জায়গায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকলেও সারা দেশে রাতে তা সামান্য বাড়তে পারে। এর সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত হালকা অথবা মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।

এদিকে শৈত্যপ্রবাহ বিদায় নিলেও এর প্রভাব রয়েছে পঞ্চগড় জেলায়। আজ সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানী ঢাকায় এর মাত্রা ছিল ২০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও বাড়তে শুরু করেছে। গতকাল শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল খুলনা, মোংলা, সাতক্ষীরা ও যশোরে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।