অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও সম্বন্ধী-বউকে গলা কেটে হত্যা

পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও সম্বন্ধীর স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে দুবাইপ্রবাসী এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিকলীর গুরুই ইউনিয়নের গুরুই পশ্চিমপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পারিবারিক দ্বন্দ্বের জের ধরে এই জোড়া খুনের ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করছে পুলিশ। স্থানীয় লোকজন ওই ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।

আটক প্রবাসী হলেন শওকত আলী (৩০)। তিনি গুরুই পশ্চিমপাড়া গ্রামের ইছব আলীর ছেলে।

নিহত দুই নারী হলেন শওকত আলীর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আয়শা আক্তার (২৪) ও আয়শা আক্তারের ভাই মোস্তফা মিয়ার স্ত্রী সালমা আক্তার (৩০)।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শওকত আলী সম্প্রতি দুবাই থেকে ছুটিতে বাড়ি আসেন। বাড়িতে আসার পর প্রায়ই স্ত্রী আয়শার সঙ্গে তাঁর কলহ হতো। শওকত এর কারণ হিসেবে স্ত্রীর ভাবি সালমাকে দোষারোপ করতেন। আজও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে স্ত্রীকে ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন শওকত। স্ত্রীর মরদেহ নিজ ঘরে তালাবদ্ধ করে পাশের গুরুই পূর্বপাড়া গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে হানা দেন। এ সময় সালমা আক্তারকেও একই ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। প্রতিবেশীরা তা দেখতে পেয়ে শওকতকে আটক করে এবং গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।

ঘটনার পরপরই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বাজিতপুর সার্কেল) মো. কামাল উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ঘটনার প্রকৃত কারণ না জানা গেলেও স্থানীয় ব্যক্তিদের ভাষ্যমতে স্ত্রীর প্রতি একধরনের অবিশ্বাস ও অসন্তুষ্টির কারণে এ ঘটনা ঘটতে পারে।

নিকলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। গণপিটুনিতে আহত শওকতকে নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।