বাসায় গিয়ে পড়াতে রাজি না হওয়ায়...

আবদুল মজিদ খন্দকার
আবদুল মজিদ খন্দকার

বাসায় গিয়ে প্রাইভেট পড়াতে রাজি না হওয়ায় এক শিক্ষিকাকে মারধরের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির (জাপা) আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব আবদুল মজিদ খন্দকার। আজ সোমবার বিকেলে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে এখনো তাঁর স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

এর আগে আজ দুপুরের দিকে ওই শিক্ষিকার বাবা ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেন জাপা নেতা আবদুল মজিদ ও তাঁর স্ত্রী রোকেয়া খন্দকারের বিরুদ্ধে। স্থানীয় স্কুলশিক্ষিকা শাহীনুর পারভীন বাসায় গিয়ে প্রাইভেট পড়াতে রাজি না হওয়ায় আসামিরা তাঁকে মারধরের অভিযোগে ওই মামলা হয়।

শাহীনুর নারায়ণগঞ্জ নগরীর হাজীগঞ্জ প্যাসিফিক ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে কর্মরত। তিনি ওই এলাকায় জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার নুরুল হুদার বাড়িতে ভাড়া থাকেন। শাহীনুর পারভীন অভিযোগ করেন, ‘গতকাল রোববার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে জাপা নেতা মজিদ খন্দকারের স্ত্রী রোকেয়া আমার বাসায় আসেন এবং তাঁর নাতিকে তাঁদের বাসায় গিয়ে পড়ানোর প্রস্তাব দেন। কিন্তু আমি অসুস্থতার কারণে বাড়িতে গিয়ে প্রাইভেট পড়ানোর সম্ভব নয় বলে জানাই। এতে তিনি আমাকে গালমন্দ করে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যান। এরপর রাত ১০টার দিকে তিনি স্বামী মজিদ খন্দকারকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাড়িতে এসে সরাসরি শোয়ার ঘরে ঢুকে পড়েন। একপর্যায়ে তাঁরা আমাকে জুতাপেটা করেন ও গলা চেপে ধরেন।’

শাহীনুর পারভীনের মা রাবেয়া ইসলাম অভিযোগ করেন, ‘মজিদ খন্দকার ও তাঁর স্ত্রী বাড়িতে ঢুকে সন্তানদের সামনে শাহীনুরকে জুতাপেটা করেছেন। আমরা এর বিচার চাই।’

এ ঘটনায় বাড়ির মালিক জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার নুরুল হুদা বলেন, একজনের বাড়িতে ঢুকে গায়ে হাত তুলে মজিদ খন্দকার অপরাধ করেছেন। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার হওয়া উচিত।

ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় সোমবার দুপুরে ওই শিক্ষিকার বাবা সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে মজিদ খন্দকার ও তাঁর স্ত্রী রোকেয়া খন্দকারের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে বাড়িতে প্রবেশ, শ্লীলতাহানি ও মারধরের অভিযোগে মামলা করেছেন। আসামি আবদুল মজিদ খন্দকারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়ার আগে একাধিকবার আবদুল মজিদ খন্দকারের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।