এবার ময়লা ঠেকাতে চার কোটি টাকা

মেয়র হানিফ উড়ালসড়কের নিচে লোহার বেড়া দিচ্ছে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।  প্রথম আলো
মেয়র হানিফ উড়ালসড়কের নিচে লোহার বেড়া দিচ্ছে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। প্রথম আলো
  • জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে বালু ফেলা ও বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।
  • মার্চের মধ্যে এই কাজ শেষ হবে।
  • ২০১৩ সালের অক্টোবরে মেয়র মোহাম্মদ হানিফ উড়ালসড়ক চালু হয়।

মেয়র মোহাম্মদ হানিফ উড়ালসড়কের নিচে ময়লা ফেলা বন্ধ করতে লোহার বেড়া দেওয়া হচ্ছে। এর জন্য বরাদ্দ প্রায় চার কোটি টাকা।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, গত কয়েক বছরে এই উড়ালসড়কের নিচের সড়ক বিভাজকের বেশির ভাগ ফাঁকা জায়গা ভাগাড়ে পরিণত হয়। এ ছাড়া গুলিস্তান, ফুলবাড়িয়া, বঙ্গবাজার, আনন্দবাজার এলাকায় উড়ালসড়কের নিচে চায়ের দোকান, ভাতের হোটেল, গাড়ি পার্কিং, ঘোড়ার আস্তাবল, ইট-পাথরের দোকান বসে গিয়েছিল।

২০১৩ সালের অক্টোবরে প্রায় সাড়ে ১১ কিলোমিটার দীর্ঘ মেয়র মোহাম্মদ হানিফ উড়ালসড়ক চালু হয়। চার লেনবিশিষ্ট এই উড়ালসড়ক কাজলা, দনিয়া, দোলাইরপাড় থেকে নিমতলী পর্যন্ত বিস্তৃত। এর নির্মাণকারী ঠিকাদার উড়ালসড়কের দুই পিলারের মাঝের ফাঁকা জায়গায় পর্যাপ্ত বালু বা মাটি দিয়ে ভরাট করেনি। ফলে ওই জায়গায় যে যার মতো বাসাবাড়ি ও দোকানের ময়লা-আবর্জনা ফেলতে থাকে।

টিকাটুলীর রাজধানী সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী মাহবুবুল আলম বলেন, ওই মার্কেটের দক্ষিণ-পশ্চিম পাশ থেকে জয়কালী মন্দির পর্যন্ত হানিফ উড়ালসড়কের নিচে বর্জ্যের স্তূপ ছিল সবচেয়ে বেশি। দিনের পর দিন সেগুলো এভাবেই পড়ে থাকত। পচা গন্ধে সড়ক দিয়ে চলাচল করাই দায় ছিল। এখন সেগুলো পরিষ্কার করায় পরিবেশ আগের তুলনায় অনেক ভালো হয়েছে।

ডিএসসিসির অঞ্চল-৫-এর নির্বাহী প্রকৌশলী কাজী মো. বোরহান উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, গত জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে বালু ফেলা ও বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। মার্চের মধ্যে এই কাজ শেষ হবে। এই কাজের জন্য বরাদ্দ প্রায় চার কোটি টাকা। দরপত্রের মাধ্যমে কাজ পেয়েছে মেসার্স ভূঁইয়া এন্টারপ্রাইজ।

গত রোববার দেখা যায়, হানিফ উড়ালসড়কের নিচের পুরো অংশে বালু ফেলে ভরাট করা হয়েছে। এর মধ্যে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা থেকে জয়কালী মন্দির পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকায় ফ্লাইওভারের নিচে চার ফুট লোহার বেড়া দেওয়া হয়েছে। বাকি অংশে বেড়া দেওয়ার কাজ চলছে।

উড়ালসড়কে গুলিস্তানের ঢাকা ট্রেড সেন্টারের দক্ষিণ অংশে জুতার দোকান বসিয়েছে শতাধিক হকার। ফুলবাড়িয়া ও বঙ্গবাজার অংশে আছে ১০টির মতো ভাতের হোটেল ও চায়ের দোকান। আনন্দ বাজারে আছে ঘোড়ার আস্তাবল। কাপ্তানবাজারে ফ্লাইওভারের নিতে কয়েক শ মুরগির খাঁচা স্তূপ করে রাখা হয়েছে। যাত্রাবাড়ীতেও অর্ধশতাধিক হকারকে উড়ালসড়কের নিচে বিভিন্ন পণ্য নিয়ে বসে।