জলমহালের দখল নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১

সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় একটি জলমহালের দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক ব্যক্তি নিহত ও দুজন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের হাতিয়া গ্রামের পাশের জালিয়া জলমহালে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম তাজুল ইসলাম (৩৩)। এ ঘটনায় আহত আল আমিন (২৫) ও সোনা মিয়াকে (২২) দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, জালিয়া জলমহালটি নিয়ে স্থানীয় দক্ষিণ নাগেরগাঁও মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক ধনঞ্জয় দাস ও হাতিয়া গ্রামের একরার হোসেনের মধ্যে বিরোধ চলছে। নিহত তাজুল ইসলাম একরার হোসেনের চাচাতো ভাই।

ধনঞ্জয় দাস জানান, তাঁরা সমিতির নামে বৈধ ইজারা নিয়ে ওই জলমহালে মাছ ধরছেন। গত বছরের ২২ ডিসেম্বর একরার হোসেন তাঁর লোকজন নিয়ে জলমহাল দখলের চেষ্টা করেন। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানান তিনি। আজ সকাল ১০টার দিকে একইভাবে একরার হোসেনের লোকজন জলমহালের দখল নিতে যান। তবে তিনি দাবি করেন, প্রতিপক্ষের লোকদের সঙ্গে তাঁদের কোনো সংঘর্ষ হয়নি। তাঁরা নিজেরাই তাঁদের লোককে মেরে এখন সমিতির লোকদের ফাঁসাতে চাইছেন।

একরার হোসেন জানান, জলমহালটি তিনি সমিতির কাছ থেকে ছয় বছরের জন্য ইজারা নিয়েছেন এবং জলমহাল তাঁর দখলে আছে। আজ প্রতিপক্ষের লোকজন জলমহালে গিয়ে তাঁদের ওপর হামলা চালান। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে তাজুল ইসলাম মারা যান। তিনি বলেন, ‘যাঁরা হামলা করেছেন, তাঁরা দিরাই পৌরসভার মেয়র মোশাররফ হোসেনের লোক।’

তবে পৌর মেয়র মোশাররফ হোসেন এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, ‘আমি আওয়ামী লীগ করি, দিরাইয়ে যারা আওয়ামী লীগ করে, তারা সবাই আমার লোক। আমি দিরাই পৌর শহরে থাকি, আমার কোনো বিলের ব্যবসা নেই। এসবের কোনো কিছুই আমি জানি না।’

দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল জলিল জানান, জলমহালের দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত ও কয়েকজন আহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তির শরীরে বন্দুকের গুলির চিহ্ন আছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।