বন্ধুকে 'শায়েস্তা' করতে গিয়ে পুলিশকে গুলি!

চট্টগ্রাম নগরের ব্যস্ত এলাকায় শুক্রবার আবদুল মালেক নামের এক পুলিশ সদস্যকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ফাইল ছবি প্রথম আলো
চট্টগ্রাম নগরের ব্যস্ত এলাকায় শুক্রবার আবদুল মালেক নামের এক পুলিশ সদস্যকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ফাইল ছবি প্রথম আলো

চট্টগ্রাম নগরীর ব্যস্ত সড়কে তল্লাশি চালানোর সময় শুক্রবার পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুজন এসএসসি পরীক্ষার্থী। শনিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ বলছে, বন্ধুদের মধ্যে ঝগড়ার জের ধরে এক বন্ধুকে শায়েস্তা করার প্রস্তুতি নিতে গিয়ে বাধা পেয়ে পুলিশকে গুলি করা হয়েছে।

শুক্রবার দিবাগত রাতে নগরের মুরাদপুর ও নাসিরাবাদ এলাকা থেকে ওই দুই এসএসসি পরীক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর শুক্রবার ঘটনাস্থলেই গ্রেপ্তার হন আবদুল হাকিম (২০)।

শুক্রবার ষোলোশহর ২ নম্বর গেট এলাকায় দুটি মোটরসাইকেলে থাকা দুর্বৃত্তদের থামার সংকেত দেয় পুলিশ। তখন পেছনের মোটরসাইকেল থেকে একজন গুলি ছুড়লে পাঁচলাইশ থানার সহকারী উপপুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) আবদুল মালেক আহত হন। পরে তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে ভর্তি করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক শিক্ষার্থীকে শায়েস্তা করার প্রস্তুতি নিতে গিয়ে বাধা পেয়ে পুলিশকে গুলি করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে এ তথ্য পাওয়া গেছে। শুক্রবার বিকেলে ষোলোশহর এলাকায় ১০ জন জড়ো হয়। সেখান থেকে তাঁরা তিনটি মোটরসাইকেল ও একটি রিকশায় করে মুরাদপুরের দিকে যাচ্ছিল। নগরের স্টেডিয়াম এলাকা সংলগ্ন একটি কমিউনিটি সেন্টারে তাঁদের যাওয়ার কথা ছিল।

পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিউদ্দিন মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে তার বন্ধুর ঝগড়া হয়। এ জন্য কয়েকজন সন্ত্রাসী নিয়ে অন্য বন্ধুরা ‘হল-টুয়েন্টি ফোর’ নামের একটি কমিউনিটি সেন্টারে ওই শিক্ষার্থীকে শায়েস্তা করার প্রস্তুতি নেয়। স্থানীয় বখাটে খোকন (২৪) ও আইমানসহ মোট ১০ জন ছিল এ দলে। মুরাদপুরে যাওয়ার সময় বাধা পেয়ে খোকন পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। খোকন ও আইমানের বিরুদ্ধে মামলা আছে। তাদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।

তবে গ্রেপ্তার হওয়া একজন এসএসসি পরীক্ষার্থীর মা অভিযোগ করেন, তাঁর ছেলে ষড়যন্ত্রের শিকার। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর ছেলে নির্দোষ।

পাঁচলাইশ থানার এসআই ও তদন্ত কর্মকর্তা পলাশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, বন্ধুদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টির জের ধরে প্রতিপক্ষকে শায়েস্তা করতে যাচ্ছিল কিছু দুর্বৃত্ত। পুরো বিষয়টি তদন্ত করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।