ইউপি চেয়ারম্যান হত্যায় গ্রেপ্তার ২

শেখ লতিফুর রহমান ওরফে পলাশ
শেখ লতিফুর রহমান ওরফে পলাশ

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মো. লতিফুর রহমান হত্যাকাণ্ডের ৬০ ঘণ্টা পর থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রধান আসামিসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহত পলাশ চেয়ারম্যানের বড় ভাই জেলা পরিষদ সদস্য সাইফুর রহমান বাদী হয়ে গতকাল শনিবার রাতে লোহাগড়া থানায় মামলা করেন। মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক কুমড়ি গ্রামের বাসিন্দা শরীফ মনিরুজ্জামান, তাঁর ভাই শরীফ বাকি বিল্লাহ, দিঘলিয়া ইউপির নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মাছুদুজ্জামান, ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মো. ইমতিয়াজ আহম্মেদ মাছুম, দিঘলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ওহিদুর রহমান সরদারসহ ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

আজ রোববার দুপুরে লোহাগড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে বলে ধারণা করা হয়। হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি শরীফ মনিরুজ্জামান ও তাঁর ভাই শরীফ বাকি বিল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

নিহত পলাশের ছোট ভাই মুক্ত রহমান বলেন, এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ওই আসামিদের সঙ্গে পূর্ববিরোধ ছিল। গত ইউপি নির্বাচনের পর থেকে পলাশ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করে আসছিলেন। এতে বিরোধ আরও বাড়ে। এ কারণে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে লোহাগড়া উপজেলা পরিষদের সেটেলমেন্ট এবং নির্বাচন অফিসের মাঝামাঝি এলাকায় একটি মোড়ে আগে থেকে ওঁত পেতে থাকা অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা গুলি করে ও কুপিয়ে পলাশ চেয়ারম্যানকে হত্যা করে। পুলিশ এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই দিনই চারজনকে আটক করে।

লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আব্দুল হান্নান রুনু জানান, নিহত পলাশ উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মাসুদুজ্জামানকে পরাজিত করে তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এর আগেও লতিফুর রহমান ওরফে পলাশ একবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।