দুর্ঘটনায় নয়, পলাশের মৃত্যু আঘাতে

সড়ক দুর্ঘটনায় নয়, মাথায় আঘাত পেয়ে লক্ষ্মীপুরের স্থানীয় সাংবাদিক শাহ মনির পলাশের মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক এ খবর নিশ্চিত করেছেন। আজ রোববার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিহত সাংবাদিকের লাশের ময়নাতদন্ত হয়েছে।

নিহত শাহ মনির পলাশ (২৪) দৈনিক রূপবাণী পত্রিকার লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি ছিলেন। লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের স্নাতক (পাস) চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা দিয়েছিলেন পলাশ। গত বুধবার তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর পরদিন সকালে তাঁর মৃত্যু হয়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক প্রদীপ বিশ্বাস রোববার বিকেলে নিহত ব্যক্তির মরদেহের ময়নাতদন্ত করেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, মাথায় আঘাতের কারণে পলাশের মৃত্যু হয়েছে। এটি সড়ক দুর্ঘটনা ছিল না।

এদিকে রোববার দুপুরেই নিহত পলাশের লাশের সুরতহাল করে পুলিশ। সুরতহাল প্রতিবেদনে শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মশিউর রহমান লিখেছেন, জমিজমা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে ১৪ ফেব্রুয়ারি বাড়ির পেছনে প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হন পলাশ। প্রতিপক্ষের লোকেরা তাঁর মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করেন। আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে নোয়াখালীর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে গত বুধবার রাতেই তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

গত বুধবার সকালে সদর উপজেলার মাছিমনগর গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে পলাশকে পিটিয়ে আহত করা হয়। এ ঘটনায় তাঁর দুই চাচাতো ভাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে পরিবার। গত বৃহস্পতিবার রাতে পলাশের বাবা মনির হোসেন বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা করেছেন। আসামি করা হয়েছে আবু ছায়েদ, আবু ইউছুফ ও তাঁর স্ত্রী ফয়েজুন নেছাকে। এর মধ্যে ফয়েজুন নেছাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে অন্যরা পলাতক রয়েছেন।