প্রশ্নপত্র ফাঁস: চার শিক্ষক গ্রেপ্তার

এসএসসির প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চার শিক্ষকসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-৩। আজ সোমবার সকালে রাজধানীর উত্তরখান ও গাজীপুর জেলা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন হাসানুর রহমান (২৯), তানভীর হোসেন (২৯), সজীব মিয়া (২৬), এনামুল হক (২৭) ও মো. ইব্রাহিম (২১)। এঁদের মধ্যে তানভীর হোসেন উত্তরখান এলাকায় কেমব্রিজ হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক, সজীব মিয়া একই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হিসাববিজ্ঞানের শিক্ষক। অন্য তিনজনের মধ্যে উত্তরখানে সৃজনশীল কোচিং সেন্টারের শিক্ষক মো. ইব্রাহিম ও এনামুল হক এবং হাসানুর উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী।

গ্রেপ্তার পাঁচজনের কাছ থেকে আটটি মোবাইল ফোনসেট ও একটি ট্যাব উদ্ধার করা হয়। এগুলোর ইলেকট্রনিক ডিভাইসে এসএসসি পরীক্ষার বিভিন্ন প্রশ্নপত্র পাওয়া গেছে বলে জানান র‍্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান।

আজ বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে মুফতি মাহমুদ খান বলেন, পাঁচজনই প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে স্বীকার করেছেন। হাসানুরের ফেসবুক আইডি ‘রকি ভাই’। তিনি চার বছর ধরে প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত। হাসানুরের একেকটি পরীক্ষার শুরু হওয়ার দুই মাস আগে থেকেই ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইমোতে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মানি ট্রান্সফার নম্বর আইডি দিয়ে প্রচারণা করতে শুরু করেন। যারা প্রশ্ন পেতে চায়, তারা ২০০০ টাকার বিনিময়ে তার গ্রুপের সদস্য হতে পারেন বলে এই প্রচারণায় উল্লেখ থাকে। পরে প্রশ্ন কমন পড়া সাপেক্ষে বাকি টাকা পরিশোধ করতে হয়। তিনি বিভিন্ন সাজেশন গ্রুপ খুলে এক্সক্লুসিভ সাজেশন দেওয়ার প্রস্তাবও দিতেন। মেসেঞ্জারে ইনবক্সে টাকা পাঠানো জন্য ইলেকট্রনিক মানি ট্রান্সফার নম্বর দিতেন। টাকা পাওয়ার পর প্রেরণকারীর স্ক্রিন শট নিয়ে সদস্য করা হতো।

মুফতি মাহমুদ খান বলেন, হাসানুরের কাছ থেকে প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করতেন চার শিক্ষক তানভীর, সজীব মিয়া, ইব্রাহিম ও এনামুল হক। এরপর তাঁরা খুব কম সময়ের মধ্যে প্রশ্নপত্রের উত্তর সমাধান করে হাতে লিখে ছাত্রদের কাছে সরবরাহ করতেন। পরীক্ষা শুরুর আগে আনুমানিক সকাল আটটার দিকে তাঁরা ছাত্রদের মধ্যে এই সরবরাহ করতেন।