বিএনপির গঠনতন্ত্র নিয়ে তাঁদের মাথাব্যথা কেন?

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি

বিএনপির গঠনতন্ত্রে পরিবর্তন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তিনি একটি বিষয় বুঝতে পারছেন না, তাঁদের দলের কে প্রধান হলো তা নিয়ে তাঁদের এত মাথাব্যথা কেন? বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নিয়ে তাঁদের এত ভয় কেন?

গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনের পর গুলশানে বিএনপির কার্যালয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন।

গত ২৮ জানুয়ারি বিএনপি নির্বাচন কমিশনে তাদের সংশোধিত গঠনতন্ত্র জমা দেয়। সেখানে ৭ ধারায় দলটি পরিবর্তন আনে। ওই ধারায় দণ্ডিত ব্যক্তিদের বিএনপির কোনো পদে থাকার ব্যাপারে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। এই পরিবর্তন নিয়ে সরকারি দল সমালোচনা করে আসছে।

এ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ৭ ধারায় বড় কোনো পরিবর্তন আসেনি। ফখরুল বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে নিয়ে তাঁদের এত ভয় কেন? খালেদা জিয়া নির্বাচন না করতে পারলে আপনার সুবিধা হয়, আমরা ভালো করেই বুঝি। খালেদা জিয়াকে বাইরে রেখে নির্বাচন করতে চাইলে জনগণ মানবে না।’

মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির ৭ ধারায় ছিল রাষ্ট্রপতির আদেশের বিষয়টি। যেটা ১৯৭২ সালে করা হয়েছিল। সেই ধারা এখন নেই, এটা এখন বাতিল হয়ে গেছে। সেই দণ্ডিত ব্যক্তি দলের কোনো পদের জন্য নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না, দলের প্রধান হতে পারবে না। তিনি বলেন, এখন সাজা কারা দিয়েছে? একটি আদালত এই দণ্ড দিয়েছে, সেই আদালত কার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এই আদালত সরকারের নিয়ন্ত্রণে।

সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবার নির্বাচনে কেউ না এলে কিছু করার নেই। নির্বাচন সময়মতোই হবে। সংবিধানে যেভাবে বলা আছে, সেভাবেই হবে। যাদের জনগণের ওপর বিশ্বাস ও আস্থা আছে, তারা নির্বাচনে আসবে।

এর জবাবে বিএনপির মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়া নির্বাচন না করলে এ দেশে নির্বাচন কারও কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। এই বাস্তবতাকে অস্বীকার করে যারা নির্বাচন করতে চায়, তারা আসলে একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চায়। একতরফা নির্বাচন করতে চায়।

এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, ‘খালেদা জিয়ার সাজার বিরুদ্ধে আপিল করা হবে। আশা করি, এ সপ্তাহে আপিল করা হবে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুল কাইয়ুম প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।