চার দিনেও হদিস মেলেনি পিস্তলটির

  • গত শুক্রবার এএসআই হালিমকে গুলি করে পালিয়ে যান ১০ কিশোর ও তরুণ।
  • গ্রেপ্তার হওয়া এক কিশোরসহ তিনজন রোববার আদালতে জবানবন্দি দেন।

চট্টগ্রামে পুলিশকে গুলি করা সেই পিস্তলটির হদিস চার দিনেও মেলেনি। সেটি উদ্ধারে নগরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। অবৈধ অস্ত্রটির মালিক যুবলীগ নেতাকেও ধরা যায়নি।
এদিকে এই ঘটনায় গ্রেপ্তার এক কিশোরসহ তিনজন গত রোববার রাতে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মেহনাজ রহমানের আদালতে জবানবন্দি দেন। সেখানে তাঁরা বলেছেন, অস্ত্রটি যুবলীগের এক নেতার কাছ থেকে নিয়েছেন। ঘটনার পর তাঁকে আবার ফেরত দেন। নগরের সিআরবি এলাকায় কলেজপড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে পূর্ববিরোধের জেরে তাঁরা তাঁকে মারতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু তার আগে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যান।
গত শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রামের ষোল শহরের দুই নম্বর গেট এলাকায় তল্লাশি চালানোর সময় পাঁচলাইশ থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আবদুল হালিমকে গুলি করে পালিয়ে যান ১০ কিশোর ও তরুণ। এক বন্ধুকে মারতে গিয়ে রাস্তায় হঠাৎ পুলিশের মুখোমুখি হন তাঁরা। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে সাদাপোশাকে থাকা পুলিশ সদস্যকে গুলি করেন তাঁদের একজন। সঙ্গে থাকা তিনটি মোটরসাইকেল ফেলে যে যার মতো দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করার সময় ধরা পড়েন একজন।
এ ঘটনায় শুক্রবার রাতেই দুই এসএসসি পরীক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ১০ জনকে আসামি করে পুলিশ থানায় মামলা করে। এই পর্যন্ত ঘটনায় জড়িত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের মধে৵ তিনজন আদালতে জবানবন্দি দেন।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিউদ্দিন মাহমুদ তাঁর কার্যালয়ে প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্রটি উদ্ধারের জন্য নগরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে। গ্রেপ্তার আসামিরা অস্ত্রটি যুবলীগের এক নেতার কাছে রয়েছে বলে জানিয়েছেন জবানবন্দিতে। কিন্তু ঘটনার পর থেকে তাঁকে পাওয়া যাচ্ছে না। যুবলীগ নামধারী ফারুক ওরফে টোকাই ফারুককে খোঁজা হচ্ছে। তাঁর কাছে অস্ত্রটি থাকতে পারে। অন্য কারও কাছে সেটি হাতবদল করেছে কিনা তাঁকে না ধরার আগে বলা যাচ্ছে না।