চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অবরোধ ডেকেছে ছাত্রলীগের এক পক্ষ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের জের ধরে গতকাল সোমবার মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহজালাল ও শাহ আমানত আবাসিক হল থেকে ছাত্রলীগের আট কর্মীকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনার প্রতিবাদে ও প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিতে আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অবরোধ ডেকেছে ছাত্রলীগের একটি পক্ষ।

এই পক্ষটি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি আলমগীর টিপুর। এরা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

কথা-কাটাকাটির জের ধরে গতকাল আলমগীর টিপু ও বিলুপ্ত কমিটির সহসভাপতি রেজাউল হকের অনুসারীদের মধ্যে রাত ১১টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসে থেমে থেমে ইট ছোড়াছুড়ি চলে। এতে ছয় কর্মী আহত হয়েছেন। রেজাউল হক নগর আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দীন চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।

আলমগীর টিপু প্রথম আলোকে বলেন, ‘গতকাল রাতে পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদে আমরা প্রক্টরের পদত্যাগ চাই। তিনি পদত্যাগ না করা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে অবরোধ চলবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্র জানায়, আজ সকালে আলমগীর টিপুর পক্ষের কর্মীরা শাটল ট্রেনের হোস পাইপ কেটে দেন। এতে শত শত শিক্ষার্থী ভোগান্তিতে পড়েন। এ ছাড়া ছাত্রলীগে আলমগীর টিপুর সমর্থকেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়ে প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেন এবং তিনি পদত্যাগ না করা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অবরোধ ডাকেন।

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মশিউরদৌলা রেজা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিতে কিছু উচ্ছৃঙ্খল ছাত্র বিক্ষোভ করছিলেন। তাঁদের ধাওয়া দিয়ে ক্যাম্পাসের বাইরে পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে বাকি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে।