নিখোঁজের দুদিন পর পাওয়া গেল শিক্ষকের লাশ

নিখোঁজের দুদিন পর করতোয়া নদীর সেতুর রেলিং থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় এক স্কুলশিক্ষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশের পকেটে পাওয়া চিরকুট থেকে পুলিশ অনুমান করছে, ঋণের দায়ে ওই শিক্ষক আত্মহত্যা করেছেন। তবে পরিবারের দাবি, তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় নিখোঁজের দুদিন পর আজ মঙ্গলবার সকাল নয়টায় গাড়াদহ বকুলতলায় করতোয়া নদীর সেতুর রেলিং থেকে ওই শিক্ষকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

মারা যাওয়া শিক্ষকের নাম খন্দকার নজরুল ইসলাম ওরফে বাবুল (৫৫)। তিনি উল্লাপাড়া উপজেলার নলসোন্ধা গ্রামের আলহাজ নজাবত আলীর ছেলে। নজরুল ইসলাম শাহজাদপুর উপজেলার গাড়াদহ ইউনিয়নের মাকরকোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন।

থানা-পুলিশ, শিক্ষকের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার নজরুল ইসলাম স্কুলের দায়িত্ব পালন শেষে ছুটি নিয়ে বের হন। এরপর থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন। আজ ভোরে তাঁর বাড়ি থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দূরে করতোয়া নদীর সেতুর রেলিংয়ের সঙ্গে গলায় রশি বাধা অবস্থায় তাঁর ঝুলন্ত লাশ দেখে এলাকাবাসী থানায় খবর দেয়। পরে সকাল নয়টার দিকে পুলিশ এসে শিক্ষকের লাশ উদ্ধার করে।

শিক্ষকের বড় ভাই আবুল হোসেন দাবি করেন, নজরুলকে শ্বাসরোধে হত্যার পর সেতুর রেলিংয়ের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখেছে কেউ। রোববার থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত শাহজাদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গোলজার হোসেন জানান, উদ্ধার করা লাশের প্যান্টের পকেটে পলিথিন দিয়ে মোড়ানো একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। চিরকুটে তাঁর ছেলেকে সম্বোধন করে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে একটি ঋণের তালিকা দেওয়া ছিল। ওই টাকা পরিশোধের জন্য চিরকুটে উল্লেখ করা ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি ঋণের দায়ে আত্মহত্যা করতে পারেন। তাঁর শরীরে কোনো ক্ষত চিহ্ন দেখা যায়নি।

এসআই আরও জানান, কীভাবে মৃত্যু হয়েছে, তা নিশ্চিত হতে লাশের ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় স্কুলশিক্ষকের বড় ভাই বাদী হয়ে শাহজাদপুর থানায় একটি মামলা করেছেন।

এদিকে শাহজাদপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) ফাহমিদা হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।