মেসে ঢুকে ছাত্রীকে ব্লেড দিয়ে ক্ষতবিক্ষত

>
  • গুরুতর আহত ছাত্রীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
  • পালিয়ে যাওয়ার সময় আরিফুল ইসলাম নামের তরুণ আটক।

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেসে ঢুকে এক কলেজছাত্রীকে ব্লেড দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করেছেন এক তরুণ। গুরুতর আহতাবস্থায় ওই ছাত্রীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন আরিফুল ইসলাম (২৩) নামের ওই তরুণকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন। গত সোমবার রাতে পৌর শহরের ভৈরবপুর উত্তরপাড়ার ছাত্রী মেসে এ ঘটনা ঘটে।

আরিফ নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের বাসিন্দা। ছাত্রীর বাড়ি নরসিংদীর পাটুলি ইউনিয়নে। তিনি ভৈরব রফিকুল ইসলাম মহিলা কলেজের ছাত্রী। এ ঘটনায় কলেজছাত্রীর ভাই বাদী হয়ে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ভৈরব থানায় মামলা করেছেন। ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক কৌশিক পাল বলেন, ব্লেড দিয়ে মেয়েটির শরীরের পাঁচ স্থানে আঘাত করা হয়েছে। দুই গালের আঘাত ছয় ইঞ্চি গভীর।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রফিকুল ইসলাম মহিলা কলেজে ভর্তি হওয়ার পর ওই ছাত্রী কলেজ লাগোয়া একটি মেসে ওঠেন। সোমবার রাত আটটার দিকে ওই ছাত্রীর কক্ষ থেকে চিৎকারের শব্দ ভেসে আসে। পাশের কক্ষের ছাত্রীরা এসে দেখেন, ভেতর থেকে দরজা বন্ধ। কিছুক্ষণ পর আরিফ দরজা খুলে বের হয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তখন লোকজন তাঁকে আটক করেন। আর ওই ছাত্রী রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে ছিলেন।

আরিফের দাবি, ওই ছাত্রীর সঙ্গে ছয় বছর ধরে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। কিছুদিন আগে তাঁর বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব পাঠানো হয়। কিন্তু পরিবারের সদস্যরা প্রস্তাবে রাজি হননি। এ অবস্থায় মেয়েটির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নষ্ট হয়। এই ক্ষোভ থেকে তিনি রাতে কৌশলে মেয়েটির কক্ষে ঢুকে ব্লেড দিয়ে তাঁকে ক্ষতবিক্ষত করেন।

তবে আরিফের দাবি অস্বীকার করেছেন কলেজছাত্রীর ভাই। তিনি বলেছেন, প্রেমের সম্পর্ক ছিল না। তাঁর বোনকে আসা-যাওয়ার পথে উত্ত্যক্ত করতেন আরিফ।

ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুখলেছুর রহমান বলেন, মামলা হওয়ার পর আরিফকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে গতকাল বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কিশোরগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়েছে।