শহীদ রফিকের নতুন ম্যুরাল স্থাপন

ভাষাশহীদ রফিক উদ্দিন আহমদের জন্মস্থান সিঙ্গাইর উপজেলার রফিকনগর গ্রামে গতকাল চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় শিশুশিক্ষার্থীরা।  ছবি: প্রথম আলো
ভাষাশহীদ রফিক উদ্দিন আহমদের জন্মস্থান সিঙ্গাইর উপজেলার রফিকনগর গ্রামে গতকাল চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় শিশুশিক্ষার্থীরা। ছবি: প্রথম আলো

মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে ভাষাশহীদ রফিক উদ্দিন আহমদ গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘরে গতকাল মঙ্গলবার নতুন ম্যুরাল স্থাপন করা হয়েছে। আগের ম্যুরালটির সঙ্গে শহীদ রফিকের চেহারার মিল ছিল না।

এদিকে ভাষাশহীদ রফিকের জন্মস্থান সিঙ্গাইর উপজেলার রফিকনগরে একুশে মেলায় গতকাল বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও খেলাধুলার আয়োজন করা হয়। আয়োজক সূত্র জানায়, গত শনিবার থেকে ভাষাশহীদ রফিক স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে অমর একুশে উপলক্ষে সাত দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে বসেছে গ্রামীণ মেলাও। শুক্রবার পর্যন্ত চলবে এসব অনুষ্ঠান ও মেলা। গতকাল দুপুরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি, দেশাত্মবোধক গান, রবীন্দ্রসংগীত, নজরুলসংগীত, লোকজ গান, একুশে স্মারক বক্তৃতা, একক অভিনয়, নৃত্য ও কুইজ প্রতিযোগিতা। বিভিন্ন বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা এসব প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।

ভাষাশহীদ বরকতের ম্যুরাল স্থাপনের দাবি পরিবারের

গাজীপুরে বসবাসকারী শহীদ আবুল বরকত পরিবারের সদস্যরা তাঁর নামে স্থাপিত স্টেডিয়ামে ম্যুরাল স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি ভাষাশহীদদের নামে বরাদ্দকৃত টাকার পরিমাণ বৃদ্ধি ও উত্তোলন পদ্ধতি সহজ করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

গতকাল শহীদ বরকতের ভাতিজা মো. আইন উদ্দিন প্রথম আলোকে জানান, তাঁরা তিন ভাই। পরিবার-পরিজন নিয়ে গাজীপুরের চান্দনা এলাকায় বসবাস করছেন। জেলা শহরে তাঁদের চাচার নামে শহীদ বরকত স্টেডিয়াম স্থাপিত হয়েছে। বর্তমানে তাঁরা সেখানে চাচার স্মৃতি রক্ষার্থে তাঁর ম্যুরাল স্থাপনের আবেদন জানিয়েছেন জেলা প্রশাসকের কাছে। জেলা প্রশাসক তা স্থাপনের আশ্বাস দিলেও বাস্তবায়ন হয়নি।

শহীদ রফিকের নতুন ম্যুরাল
শহীদ রফিকের নতুন ম্যুরাল

আইন উদ্দিন জানান, মুক্তিযোদ্ধাদের কয়েক দফা ভাতা বাড়লেও ভাষাশহীদদের ভাতা মাত্র একবার বেড়ে হয়েছে ১০ হাজার টাকা। তা-ও আবার সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে ট্রেজারির মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের কাছে যায়। তাঁর কাছ থেকে সম্মানী ভাতা আবেদন করে তুলতে হয়।

জেলা প্রশাসক দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর জানান, শহীদ পরিবারের দাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে স্টেডিয়ামের ফলকে তাঁর (বরকত) জীবনী ও ছবি লাগানো হচ্ছে। ম্যুরাল স্থাপনও করা হবে। আর ভাতার টাকা তাঁরা যেভাবে চায়, সেভাবে উত্তোলনে কোনো সমস্যা থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।