বর্ণের সঙ্গে সারা দিন কাটাল শিশু-কিশোরেরা

বরাবরের মতো এবারও সার্ফ এক্সেল-প্রথম আলোর উদ্যোগে হয়ে গেল বর্ণমেলা। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে মেলার আয়োজন করা হয়। চট্টগ্রামে নাসিরাবাদ সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ মেলার আয়োজন করা হয়। নাসিরাবাদ সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়, চট্টগ্রাম। ছবি: সৌরভ দাশ
বরাবরের মতো এবারও সার্ফ এক্সেল-প্রথম আলোর উদ্যোগে হয়ে গেল বর্ণমেলা। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে মেলার আয়োজন করা হয়। চট্টগ্রামে নাসিরাবাদ সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ মেলার আয়োজন করা হয়। নাসিরাবাদ সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়, চট্টগ্রাম। ছবি: সৌরভ দাশ

বর্ণের সঙ্গে সারা দিন কাটিয়েছে শিশু কিশোরেরা। বর্ণের সঙ্গে সেলফি, বর্ণের সঙ্গে খেলা, বর্ণ নিয়ে লেখালেখি—আরও কত কীতে মেতে ছিল তারা। আজ বুধবার নগরের নাসিরাবাদ সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় মাঠে প্রথম আলোর আয়োজনে বর্ণমেলা এভাবে বর্ণিল হয়ে ওঠে।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে নবমবারের মতো এই বর্ণমেলার আয়োজন করে যাচ্ছে প্রথম আলো। বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার পাশাপাশি তারা বর্ণের সঙ্গে কাটিয়েছে পুরো একটি দিন। কেউ বন্ধু কিংবা স্বজন, আবার কেউ মা-বাবার হাত ধরে বর্ণমেলাকে বর্ণিল করে তুলেছে।

শিশুরা মনের মতো করে সাজিয়ে তাদের মাতৃভাষার বর্ণ। নাসিরাবাদ সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়, চট্টগ্রাম। ছবি: সৌরভ দাশ
শিশুরা মনের মতো করে সাজিয়ে তাদের মাতৃভাষার বর্ণ। নাসিরাবাদ সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়, চট্টগ্রাম। ছবি: সৌরভ দাশ

সকাল ১০টায় বর্ণমেলার উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ইমেরিটাস আলমগীর মোহাম্মদ সিরাজুদ্দীন। সবাইকে নিয়ে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তিনি। এরপর বেলুন উড়িয়ে বর্ণমেলার উদ্বোধন করেন তিনি। এ সময় সঙ্গে ছিলেন প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক বিশ্বজিৎ চৌধুরী। উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গে মঞ্চ থেকে ভেসে আসে রক্তকরবীর শিল্পীদের কণ্ঠে জাতীয় সংগীত।
এ সময় আলমগীর মোহাম্মদ সিরাজুদ্দীন প্রথম আলোর আয়োজনের প্রশংসা করে বলেন, ‘একুশে ফেব্রুয়ারি, স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবসে আমরা সারমর্ম বক্তব্য দিই। কিন্তু শিশু-কিশোরদের কথা কেউ ভাবে না। প্রথম আলো এই চিন্তাটি করেছে। এ জন্য তাদের ধন্যবাদ। আজকের এই শিশুরাই দেশের ভবিষ্যৎ।’

বর্ণমেলায় ঘুরছে আনন্দের নাগরদোলা। নাসিরাবাদ সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়, চট্টগ্রাম। ছবি: সৌরভ দাশ
বর্ণমেলায় ঘুরছে আনন্দের নাগরদোলা। নাসিরাবাদ সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়, চট্টগ্রাম। ছবি: সৌরভ দাশ

উদ্বোধনের পর মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শিল্পীর সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। নাচ-গানের পাশাপাশি ছোটদের বেশি মুগ্ধ করেছে বিজেশ্রী বসাকের জাদু।
এ ছাড়া রাশেদ হাসান ও আয়েশা হকের আবৃত্তি, অভ্যুদয়ের গান, ওডিসি অ্যান্ড টেগোর ডান্স মুভমেন্টের নৃত্য পুরো মেলাকে জমিয়ে রাখে। একক সংগীত পরিবেশন করেন রাশেদ, আল তুষি, লুবনা ও মানস পাল।
বর্ণমেলায় মেয়ে ফারিবাকে নিয়ে এসেছিলেন ব্যবসায়ী আজিজ উদ্দিন। তিন বছরের মেয়েটিকে নিয়ে হাতেখড়ি দিয়েছেন মেলায়। এ ছাড়া বর্ণ প্রদর্শনী, বর্ণ দোলা, বর্ণ প্রযুক্তি, পাপেট শো, সুন্দর হাতে সুন্দর বর্ণ লিখন ইত্যাদি নিয়ে মেতে ছিল আগত শিশু-কিশোরেরা।