বিবাহবার্ষিকীও সাইকেলে চেপে...
পরিবেশবান্ধব বাইসাইকেল ব্যবহারে উৎসাহ জোগাতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। সাইকেলে ঘুরেছেন দেশের ৬৪ জেলা। সাইকেলে গিয়েছেন বিদেশেও। সাইকেল চালানো তাঁর নেশাই বলা যায়। দুই চাকার এই বাহনে চেপে গত বছর এই দিনে বর বেশে বিয়ের আসরেও যোগ দেন। আজ বুধবার বিয়ের প্রথম বর্ষপূর্তিতে এর ব্যতিক্রম হয়নি। সাইকেলে চেপে বন্ধু ও অন্য সাইক্লিস্টদের নিয়ে উদ্যাপন করলেন নিজের প্রথম বিবাহবার্ষিকী।
সাইকেলপাগল এই তরুণের নাম শেখ মো. শরিফুল ইসলাম ওরফে হিরণ। তিনি খুলনার গল্লামারী এলাকার ক্যাফে অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট ‘কেওড়া’র স্বত্বাধিকারী। খুলনা সাইক্লিস্ট গ্রুপের অন্যতম মডারেটর তিনি।
আজ বিকেলে নগরের গল্লামারী এলাকা থেকে শরিফুল ইসলামের বিবাহবার্ষিকীর সাইকেলযাত্রা শুরু হয়। শেষ হয় শিববাড়ি এলাকায়। সে সময় শেরওয়ানি পরে হেলমেট মাথায় ফুল দিয়ে সাজানো একটি সাইকেল চালান শরিফুল। রাস্তায় চলাচলকারী লোকজন উৎসুক দৃষ্টিতে তাকিয়ে তা দেখছিলেন। তাঁর সঙ্গে এই সাইকেলযাত্রায় অংশ নেন অন্তত ২০ জন সাইক্লিস্ট।
শরিফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘যান্ত্রিক বাহনে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। যান্ত্রিক বাহনের আরোহীরাও অতিষ্ঠ। তাই আমি চাই, সাইকেলের ব্যবহার বাড়ুক।’
তিনি বলেন, ‘ব্যবসার পাশাপাশি সাইকেল চালানো আমার নেশা। আমার বিয়ের দিন সাইকেলে চেপে কনের বাড়ি গিয়েছিলাম। সাইকেল চালাতে লোকজনকে উৎসাহ দিতে বিবাহবার্ষিকীতেও সাইকেলযাত্রা করলাম। এর মাধ্যমে লোকজনকে সাইকেলের প্রতি আগ্রহী হতে একটি বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করলাম।’
সাইকেলযাত্রার আগে তাঁর ক্যাফে অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের সামনে স্বজন ও বন্ধুদের নিয়ে বিবাহবার্ষিকীর কেক কাটা হয়। সে সময় ছোট ছোট ব্যানারে লেখা ছিল, প্রথম বিবাহবার্ষিকীতে শরিফুল ইসলাম হিরণ ও তাসনিয়া তাবাসসুম শিউলীর সচেতনতামূলক বার্তা ‘সাইকেল চালান, পরিবেশ বাঁচান’। অন্যান্য ব্যানারে লেখা ছিল, ‘যানজট কমাতে সাইকেল চালান, অর্থ বাঁচাতে সাইকেল চালান’, ‘সাইকেল চালালে শারীরিক সুস্থতা বজায় থাকে, সড়ক দুর্ঘটনা কমবে, পরনির্ভরতা কমবে’।