অন্য কিছুর সুযোগ নেই: বাণিজ্যমন্ত্রী

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ । প্রথম আলাে ফাইল ছবি
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ । প্রথম আলাে ফাইল ছবি

যাঁরা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও সহায়ক সরকারের স্বপ্ন দেখেন, তাঁরা সেই স্বপ্ন ভুলে যান। নির্বাচন হবে বর্তমান সরকারের অধীনে। এর বাইরে কিছু হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

বুধবার ভোলার বাংলাবাজারে ফাতেমা খানম কলেজের মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

২০-দলীয় জোটকে উদ্দেশ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, যদি কেউ আন্দোলনের নেমে অরাজকতা করার চেষ্টা করে, তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। কারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ও সরকারের।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, যাঁরা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও সহায়ক সরকারের স্বপ্ন দেখেন, তাঁরা সেই স্বপ্ন ভুলে যান। আগামী নির্বাচন হবে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে। নির্বাচনকালে এই সরকার দৈনন্দিন কাজ করবে। নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন। এর বাইরে আর কোনো কিছু হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় না এলে স্বাধীনতার মূল্যবোধ, চেতনা আমরা প্রতিস্থাপন করতে পারতাম না। আওয়ামী লীগ যদি ২০০৯ সালে সরকার গঠন না করত, তা হলে যুদ্ধাপরাধী, মানবতাবিরোধীদের বিচার হতো না। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী না হলে এই বিচার কখনো হতো না। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশে উন্নয়ন হয়। মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে ভোলার চেহারা পাল্টে যাবে। ভোলা হবে সিঙ্গাপুর। ভোলায় প্রচুর গ্যাস রয়েছে। গ্যাসের ওপর ভিত্তি করে অনেক শিল্প-কলকারখানা গড়ে উঠবে।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের যদি কেউ ক্ষতি করে থাকে, তা করেছেন জিয়াউর রহমান। বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ২০১৩ সালে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি হয়েছে। ২০১৪ সালের নির্বাচন বানচাল করার জন্য মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে। ২০১৫ সালে ৯২ দিন হরতাল-অবরোধের নামে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। তাই আবার আওয়ামী লীগকেই ক্ষমতায় আনতে হবে।

কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন প্রমুখ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ভোলা জেলা প্রশাসক মোহা. সেলিম উদ্দিন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মমিন, পুলিশ সুপার মো. মোকতার হোসেন প্রমুখ।